মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালজানিতে (Cooch Behar) চোদ্দ বছরের নাবালিকাকে পাঁচজন দুষ্কৃতী ধর্ষণ করে এবং তার পরবর্তীতে এক সপ্তাহের উপরে জ্ঞানহীন থাকার পর গতকাল সেই নবম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর প্রতিবাদে কোচবিহার জেলার সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশের অফিস ঘেরাও করল এবিভিপি। অপর দিকে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে কালজানির সেই মৃত নাবালিকার বাড়িতে পরিবারের সাথে কথা বলতে এল বিশেষ প্রতিনিধি দল। শিশু সুরক্ষা কমিটির বক্তব্য, আমরা পরিবারের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমরাও চাইব দোষীদের যাতে দ্রুত শাস্তি দেওয়া হয়।
এবিভিপির বক্তব্য (Cooch Behar)
এবিভিপি সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গের সম্পাদক সুব্রত অধিকারী বলেন, গত সাত দিনে ৫টা এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে মহিলাদের নগ্ন করে নির্যাতন করা হয়েছে। কোচবিহারের (Cooch Behar) কালজিনি এবং তুফানগঞ্জে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের কাছে নারী সুরক্ষা বিপন্ন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে রাজ্যে। তিনি আরও বলেন, এই জেলাশাসক নিজে তৃণমূল জেলা সভাপতির চামচা।
অপর দিকে কোচবিহারের রামকৃষ্ণ বয়েজ স্কুলের পক্ষ থেকে ছাত্ররা কোচবিহারের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টায়া, কাঠ জ্বলিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হয়েছেন। ছাত্রদের বক্তব্য এই জায়গায় কোনও রাজনীতির রং লাগিয়ে লাভ হবে না। যে পাঁচ জন দোষী ধরা পড়েছে, তাদের প্রত্যেককে ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। শাস্তি এমন দিতে হবে যেন পরবর্তীতে এই ধরনের অপরাধ করতে দুষ্কৃতীদের ভিতর কেঁপে ওঠে।
রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের বক্তব্য
কালজানিতে (Cooch Behar) নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যা নিয়োতি মাহাতো বলেন, আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি, এই নির্মম ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে শাস্তি চাই। প্রশাসন, পুলিশ, শাসক দলের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা এই ধরনের বিঙেগুলির উপর নজর রাখব। উল্লেখ্য কমিশনের সদস্যারা নির্যাতিতা পরিবারের বাড়িতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। ঘটনা ঘটার এতদিন পরে কেন এসেছেন! ঠিক এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours