মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh)। সোমবার সাংবাদিকদের সামনে পুলওয়ামা আক্রমণ নিয়ে আরও বেফাঁস মন্তব্য করা থেকে দিগ্বিজয়কে আটকালেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। সাংবাদিকরা দিগ্বিজয়ের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলে, সাংবাদিকদের ঠেলে দূরে সরিয়ে দেন জয়রাম রমেশ।
কী ঘটেছে?
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিকরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং পুলওয়ামা হামলার বিষয়ে দিগ্বিজয়ের (Digvijay Singh) মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলে, জয়রাম রমেশ পিছন থেকে দ্রুত এগিয়ে যান এবং সাংবাদিকের হাতে ধরে রাখা মাইকটিকে ধাক্কা দেন। যদিও এরপরেও নিজের বক্তব্য রাখেন দিগ্বিজয় সিং।
সোমবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরে বিতর্কে জানান দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh)। সোমবার জম্মুতে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় এসে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং বলেন, "আমাদের ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান পুলওয়ামায় শহীদ হয়েছিলেন। সিআরপিএফ আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অনুরোধ করেছিলেন যে, কর্মীদের এয়ারলিফ্ট করা উচিত, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি রাজি হননি। কীভাবে এই ধরনের ত্রুটি ঘটল? আজ পর্যন্ত, পুলওয়ামা নিয়ে কোনও রিপোর্ট সংসদের সামনে রাখা হয়নি'। কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, "তারা দাবি করে যে একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছে, কিন্তু প্রমাণ দেখায়নি। তাঁরা শুধু মিথ্যা ছড়ায়।"
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে জম্মুকাশ্মীরের উড়িতে সন্ত্রাসবাদী হামলার ১০ দিন পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত। উড়িতে সেনাবাহিনীর ১২ নম্বর ব্রিগেডের সদর দফতরে হামলা চালায় চার জন জঙ্গি। হামলায় মৃত্যু হয় ১৮ জন সেনার।
এর আগে রবিবার দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh) বলেন, "প্রথমত, আমরা রাজৌরির ধাংরি এবং জম্মুর নারওয়ালে সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা জানাই। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মুকাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে আসলে তা নয়। হত্যা এবং বোমা বিস্ফোরণ ফের শুরু হয়েছে।"
আরও পড়ুন: মঙ্গলে কুন্তল-তাপসকে বসিয়ে মুখোমুখি জেরা! নীলাদ্রির ‘পরিচয়’ মিলবে এদিনই?
প্রসঙ্গত রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার ১২৯তম দিনে তাতে যোগ দেন দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh), কে সি ভেনুগোপাল, জয়রাম রমেশ, জম্মুকাশ্মীর কংগ্রেসের প্রধান ভিকার রসুল ওয়ানি, কার্যকরী সভাপতি রমন ভাল্লা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী তারিক হামিদ কাররা-র মতো নেতারা। গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। আগামী ৩০ জানুয়ারি তা শ্রীনগরে সমাপ্ত হওয়ার কথা। পদযাত্রার সমাপ্তি উপলক্ষে একটি মেগা র্যালিতে দলের সদর দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার কথা রয়েছে রাহুল গান্ধীর।
+ There are no comments
Add yours