মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই বিধানসভা ভোটের পর থেকে শুরু হয়েছে। বিধানসভা ভোটের বিপর্যয়ের পর দলের জেলা সভাপতি হিসাবে প্রকাশ চিক বরাইককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর দুটি পুরসভা নির্বাচনে সাফল্য আসে। ফলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গুডবুকে উঠে আসেন প্রকাশ। বিজেপি থেকে আসা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ও বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের সুনজরে রয়েছেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর নেতাদের একটা দ্বন্দ্ব চলছে। এক গোষ্ঠীর নেতারা দলের কোনও কর্মসূচি করলে অপর গোষ্ঠী পাল্টা ক্ষমতা প্রদর্শনে পিছিয়ে থাকছে না। নেতৃত্বের ওই বিরোধ দলের নিচু তলাতেও প্রভাব ফেলছে। প্রভাব পড়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে।
ঠিক কী ঘটেছে?
প্রকাশ্যে বড় নেতারা মুখ না খুললেও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে দলীয় কর্মসূচিতে ডাকছেন না আলিপুরদুয়ার এক ব্লকের সভাপতি পীযূষ কান্তি রায়। আবার বিধায়কের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনিও নাকি কিছুই জানতে পারছেন না দাবি পীযুষের। এ ব্যাপারে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কাছে ও রিপোর্ট গিয়েছে। অভিষেকের সভায় লোক জড়ো করার ক্ষেত্রে একাধিক ব্লক সভাপতির গা ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে দলের জেলা নেতাদের একাংশের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক। নবজোয়ার কর্মসূচির আগে এপ্রিলের শুরুতে আলিপুরদুয়ারের বাবুরহাটে গ্রামীণ এলাকায় একটি সভা করেছিলেন অভিষেক। সেই সভায় জমায়েত দেখে খুশি হননি তিনি। ২৭ এপ্রিল নবজোয়ার কর্মসূচিতে জেলায় এসেছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। জেলার তিনটি জায়গায় তিনি সভা করেন। অভিষেকের কর্মসূচি সফল করতে একাধিক ব্লক সভাপতি সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের অনেক ক্ষেত্রেই সমন্বয় হয়নি। একাধিক ব্লক সভাপতির কাজ করার ক্ষেত্রে ফাঁকফোকর ছিল। দলের ওই কর্মসূচিকে জেলার কর্মসূচি বলে ব্লক সভাপতিদের কয়েকজন দায় এড়িয়েছেন। ফলে, নবজোয়ারে তার ভাল প্রভাব পড়েছিল। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া একটি ক্লাবের মাঠে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সেই সভায় লোকজন ভাল ছিল না। জমায়েত দেখে অভিষেক (Abhishek Banerjee) দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিষেকের নিজস্ব টিমের সদস্যরা ওই সময় জেলার সব নেতার ওপর নজরদারি চালিয়েছিলেন। তাঁদের নজরেও অসহযোগিতার বিষয়টি ধরা পড়েছে।
নবজোয়ার কর্মসূচির পরই জেলা সভাপতিকে কলকাতায় তলব
কয়েকমাস আগেই আলিপুরদুয়ার জেলায় ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকায় কি আবার রদবদল হতে চলেছে? আপাতত জেলার রাজনৈতিক মহলে এই জল্পনাই ঘোরাফেরা করছে। যদি সত্যিই রদবদল ঘটে তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর পরই আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইককে কলকাতায় তলব করা হয়। তাঁর কলকাতায় যাওয়ায় শাসক দলের অন্দরে জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। এসব নিয়ে একেবারেই কিছু বলতে চাইছেন না। তিনি শুধু বলছেন, দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কলকাতায় এসেছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours