Dr. Bhupen Hazarika: ভূপেন হাজারিকার ৯৬তম জন্মদিন, ডুডল তৈরি করে শিল্পীকে শ্রদ্ধা গুগলের

'সুধাকণ্ঠ' নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা।
WhatsApp-Image-2022-09-08-at-8
WhatsApp-Image-2022-09-08-at-8

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার (Bhupen Hazarika) ৯৬ তম জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাল গুগল (Google), তাদের ডুডলের (Doodle) মাধ্যমে। এটিই প্রথম নয়, এর আগেও গুগলকে দেখা গিয়েছে জনপ্রিয়, স্মরণীয় ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে এমন ডুডল করে থাকে। তিনি একাধারে গায়ক, কবি, সংগীতশিল্পী, পরিচালক ও গীতিকার ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতেও যোগ ছিলেন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত আসাম বিধানসভার বিধায়কও ছিলেন তিনি। 'সুধাকণ্ঠ' নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি।

২০১১ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন ভূপেন হাজারিকা। তবে তিনি যেন এখনও তাঁর সংগীতের মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে আছেন। এই কিংবদন্তি শিল্পীর প্রতি গুগলের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে ভূপেন হাজারিকার অনুরাগীরাও খুশী হয়েছেন। প্রায় ছয় দশক ধরে তিনি কাজ করেছেন প্রায় কয়েকশ ছবিতে। গুগলের এই বিশেষ সম্মান জানানোর পদ্ধতি প্রায় সবারই জানা। তাই আজও তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। এই ডুডলে দেখা যায়, হারমোনিয়াম নিয়ে বসে রয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। এই ডুডলটি তৈরি করেছেন মুম্বইয়ের অতিথিশিল্পী রুতুজা মালি (Rutuja Mali )।

আরও পড়ুন: 'ওয়েদার উম্যান অফ ইন্ডিয়া'- কে ১০৪তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাল গুগল ডুডল

১৯২৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর আসামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এরপর ব্রহ্মপুত্রের তীরে সেখানকার সংস্কৃতি আর লোকগানকে আঁকড়ে ধরেই তাঁর বড় হওয়া। মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর প্রথম গান রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর তিনি ১৯৪২ সালে কলাবিভাগে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন এবং ১৯৪৬ সালে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। এরপরই তিনি পাড়ি দেন নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে। সেখানে পাঁচ বছর থেকে ১৯৫২ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস কমিউনিকেশনে পিএইচডি করে দেশে ফিরে আসেন।

পড়াশোনার শেষ করে গুয়াহাটিতে অল ইন্ডিয়া রেডিওর হয়ে গান গাইতে শুরু করেন তিনি। তিনি একাধিক বাংলা গান হিন্দিতে অনুবাদ করেও গেয়েছেন। এরপর তিনি অসংখ্য গান তৈরি করেছেন। তাঁর গানের মাধ্যমে তিনি মানুষের গল্প তুলে ধরতেন। তাঁদের সুখ-দুঃখের গল্প, ঐক্য এবং সাহস, রোম্যান্স এবং একাকীত্ব এবং দ্বন্দ্ব ও সংকল্পের গল্প তিনি তাঁর গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

'রুদালি', 'মিল গয়ি মনজিল মুঝে', 'দরমিয়াঁ', 'গজগামিনি', 'দামন', 'কিউঁ'-এর মতো গানের মাধ্যমে মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছিলেন তিনি। একাধিক পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় পুরস্কার, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড, পদ্মশ্রী (১৯৭৭), দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৯২), পদ্ম ভূষণ (২০০১)-এর মতো পুরস্কার। এছাড়াও তাঁকে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ (২০১১) এবং ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন (২০১৯) দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles