মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন বাজল। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০.২০ মিনিট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রাণসংশয়। ফোন করে এমনই দাবি করেছিলেন এক ব্যক্তি। কাল ব্যয় করেনি পুলিশ! টেলিফোন নম্বর ট্র্যাক করা হয়। ওই ব্যক্তির লোকেশন অনুযায়ী অবস্থান দেখে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
উড়ো ফোন
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে (পিসিআর) একটি ফোন আসে। সেখানে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Narendra Modi) মেরে ফেলা হবে। এ কথা শুনেই তৎপর হয় পুলিশ। ফোন নম্বর ট্র্যাক করে দেখা যায় ফোনটি এসেছিল করোলবাগ এলাকা থেকে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেখানে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে থানায় তুলে আনে। সেই সময় তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন।
হতাশা থেকেই তামাশা!
পুলিশ জানিয়েছে, তারা জানতে পেরেছে ওই ব্যক্তির নাম হেমন্ত কুমার। এই ব্যক্তি কারোলবাগের রায়গড়পুরার বাসিন্দা। দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রণব তায়াল বলেন, 'তাঁকে পুলিশ স্টেশনে আনা হয়েছে ও যৌথভাবে জেরা করা হচ্ছে।' পুলিশ জানতে পেরেছে যে, গত ৬ বছর ধরে বেকারত্বে ভুগছেন অভিযুক্ত হেমন্ত কুমার। এছাড়াও তাঁর মদ্য পানের অভ্যাস রয়েছে। তাঁর বয়স ৪৮। বৃহস্পতিবার মদ্যপান করে তিনি পুলিশকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) প্রাণসংশয়ের কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সোমবার অশান্ত মণিপুরে তিন দিনের সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু ফাঁক ফোকড়ের ছবি উঠে এসেছে। পাঞ্জাবের পর সদ্য কর্ণাটকে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে একাধিকবার নিরাপত্তার ফাঁকে পড়েন মোদি (Narendra Modi)। কখনও ব্যারিকেড ভেঙে তাঁর দিকে ছুটে আসেন কেউ, আবার কখনও মোদির দিকে উড়ে আসে মোবাইল। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে এই ব্যক্তির ফোন আসার ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজধানীতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours