Durga Puja 2023: বেনারসের ১০ সন্ন্যাসী জলঙ্গি নদীর বিলে সন্ধ্যারতি করবেন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত

প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে সবুজের মাঝে 'মা দুর্গা আশ্রম'
Durga_Puja_2023_(15)
Durga_Puja_2023_(15)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার ধুবুলিয়ার চৌগাছা হাঁসাডাঙ্গা। এখানকার প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে সবুজের মাঝে গড়ে উঠেছে 'মা দুর্গা আশ্রম'। সেখানকার শান্ত পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে দেশের দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন মন্দির প্রাঙ্গণে (Durga Puja 2023)। দুর্গা মন্দিরটি গড়ে উঠেছে জলঙ্গি নদীর একটি সুবিশাল বিলের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। পাশাপাশি মন্দির চত্বরে রয়েছে রংবেরঙের বাহারি ফুলের বাগান। এছাড়াও রয়েছে একাধিক আম ও পেয়ারার বাগান। সব মিলিয়ে ছোট-বড় গাছগাছালি দিয়ে সাজানো মা দুর্গা আশ্রমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নান্দনিকতা নজর কাড়ে দর্শনার্থী থেকে শুরু করে আবালবৃদ্ধবণিতাদের। পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে মন্দির প্রাঙ্গনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মন্দিরের এক ধারে রয়েছে নিরামিষ রেস্তোরাঁ। যেখানে সারা বছরই রকমারি নিরামিষ খাবারের সম্ভার লক্ষ্য করা যায়।

মানুষজন ছুটে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে

ধুবুলিয়ার চৌগাছা হাঁসাডাঙ্গা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী মা দুর্গা আশ্রমের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সময় কাটাতে সারা বছরই কমবেশি মানুষজন ছুটে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। বর্তমানে শরতের আগমন জানান দিয়ে যায় বিল সংলগ্ন এলাকায় গজিয়ে ওঠা ফুরফুরে সাদা মেঘের মতো কাশফুলের বাহার। যা মন্দিরের পরিবেশকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে। মন্দির প্রাঙ্গনে সারা বছরই মা দুর্গার আরাধনা (Durga Puja 2023) হয়। তবে দুর্গোৎসবের ক'দিন দেবী দুর্গার মূর্তি মন্দিরের বাইরে নিয়ে এসে পূজা-অর্চনা করেন ভক্তরা। তবে চলতি বছরে পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে সুদূর বেনারস থেকে ১০ সদস্যের এক সন্ন্যাসী দল এসে মহা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত (Durga Puja 2023) জলঙ্গি নদীর বিলে সন্ধ্যারতি করবেন। যা আশ্রমের এই বছরের পুজোর দিনগুলি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বহিরাগত দর্শনার্থীদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।

ভোলানাথের মূর্তির সামনে হবে সন্ধ্যারতি

আশ্রমের এক কর্মী বিদ্যুৎ ঘোষ বললেন, এখানে প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় পুজো হয়। সন্ধ্যায় হয় আরতি (Durga Puja 2023)। বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দির দর্শন করতে। সন্ধ্যায় আমরা তাঁদের হাতে ফল প্রসাদ তুলে দিই। একদিন মিষ্টান্নও দেওয়া হয়। এখানেই রয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, বিলে নৌকাও চলে। বাচ্চারা এলে খুবই উপভোগ করতে পারে। চারদিকে রয়েছে নানা ফুল গাছে ঘেরা বাগান। রয়েছে ফলের গাছ। তিনি জানান, দুর্গাপুজোয় এমন হয়েছে, একেক দিন ৫ হাজার লোক এসেছেন। জলে বাবা ভোলানাথের মূর্তির সামনে হবে সন্ধ্যারতি। 

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles