৬ বছরের শ্রীহান পালের ফটোগ্রাফিক মেমরি, যা দেখে তাই মনে রাখতে পারে!
বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোট্ট শ্রীহান। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ৬ বছর। কিন্তু তাতে কী? এই বয়সেই কণ্ঠস্থ ১৯৪ টি সামুদ্রিক প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম। গড়গড়িয়ে অবলীলায় বলে চলেছে কঠিন কঠিন দাঁত ভাঙা সব ইংরেজি শব্দ। এশিয়ায় রেকর্ড করে ফেলল দুর্গাপুরের (Durgapur) হরিবাজার অঞ্চলের বাসিন্দা ছোট্ট শ্রীহান। মাত্র সাড়ে ৯ মিনিটে এইসব নাম বলায় এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে স্বীকৃতি মিলেছে সম্প্রতি। তার ঝুলিতে এসেছে শংসাপত্র, মেডেল । দুর্গাপুরের হেমশীলা মডেলের ক্লাস ওয়ানের ছাত্র শ্রীহানের ছোটবেলা থেকেই ফটোগ্রাফিক মেমরি, যা দেখে তাই মনে রাখতে পারে। এই বয়সেই সোলার সিস্টেম, সামুদ্রিক প্রাণী, প্ল্যানেট ইত্যাদি বিষয়ের ওপর এনসাইক্লোপিডিয়া পড়ে ফেলেছে। এসবের পাশাপাশি ছবি আঁকার ব্যাপক আগ্রহ এই খুদের, জানাচ্ছে নিজের মুখে।
কী বললেন গর্বিত বাবা-মা (Durgapur)
শ্রীহান পালের (Durgapur) বাবা ডঃ সৌরভ পাল একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই পড়ার বইয়ের পাশাপাশি এই বিষয়গুলিতে অসীম আগ্রহ ছেলের। অন্যান্য বাচ্চারা কোথাও গেলে যেমন খেলনা চায়, ও তাই চাইত। কিন্তু তার থেকে ওর বেশি আগ্রহ ছিল বইতে। প্রথম বিভিন্ন প্ল্যানেট। তারপর বিভিন্ন জায়গা। তারপর স্বাধীনতা সংগ্রামী। মোটামুটি সবার সম্পর্কেই বই কিনে দিয়েছি, ও পড়েছে। ওর আসলে ফটগ্রাফিক মেমরি আছে। সব যে পড়ছে, তা নয়। টিভি বা মোবাইলে কিছুক্ষণ দেখলেই ও মনে রাখতে পারে। কেমন লাগছে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাবা হিসেবে তো খুবই গর্ব অনুভব করছি। এর পরের লক্ষ্য কি গিনেস বুক? উত্তর এল, সে তো আছেই ইচ্ছা। তবে ওদের পদ্ধতি একটু সময়সাপেক্ষ। আগের বছর আমার ছেলে ন্যাশনালে উত্তীর্ণ হল। এবার এশিয়ায়। তাই গিনেস বুকের জন্য আবেদন করব।
ছেলে এশিয়া রেকর্ডসের অধিকারী। গর্বিত মা পৌলমি পাল বলেন, ছোটবেলা থেকেই নানা বিষয়ে ওর আগ্রহ ছিল। আরও ছোটবেলা থেকেই যা শুনত তাই মনে রাখত। আমি ওকে যতটা পেরেছি, সাহায্য করেছি। সেভাবে মনে রেখেই আজ এশিয়ায় সেরা হয়েছে শ্রীহান। তাই মা হিসেবে আমারও খুব গর্ব হচ্ছে।
এবার লক্ষ্য গিনেস বুকে নাম তোলা
এর আগে শ্রীহান একটি বাংলা চ্যানেলের রিয়েলিটি শোতে গিয়েও তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সঞ্চালক তথা বিখ্যাত ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলিকে। এবার লক্ষ্য গিনেস বুকে নাম তোলা। তবে তার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। দুর্গাপুরের (Durgapur) বিরল এই প্রতিভার কৃতিত্বে গর্বিত বাবা, মা সহ পরিবার ও পাড়াপ্রতিবেশীর পাশাপাশি নগরবাসীও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।