২০২০ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার সফল হয়েছেন ৬৫ শতাংশ ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র-ছাত্রী
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত ১০ বছরে ইউপিএসসি পরীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারদের সাফল্যের হার সবথেকে বেশি। দেখা যাচ্ছে, বর্তমান প্যানেলের ৭০ শতাংশেরও বেশি প্রার্থী বাছাই হয়েছেন সিভিল সার্ভিসে যাঁরা টেকনিক্যাল অথবা মেডিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্র বা ছাত্রী। ইউপিএসসি (UPSC) কর্তারা বলছেন যে বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তাররা ইউপিএসসিকে পছন্দের তালিকায় রাখছেন। এর ফলে দেশে ভাল ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের অভাব বাড়তে থাকবে। ইউপিএসসির (UPSC) কর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এই প্রবণতা যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী দিনে অন্যান্য ক্ষেত্রে মেধাকে হারিয়ে ফেলবে আমাদের দেশ।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে থেকে যদি বেশি সংখ্যায় ইউপিএসসি (UPSC) সিভিল সার্ভেন্ট পাওয়া যায়, তবে সেক্ষেত্রে চিকিৎসা শাস্ত্র অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রগুলিতে মেধার অভাব দেখা দেবে। সম্প্রতি, এই ডেটা প্রস্তুত করা হয়েছে ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় যারা সফল হয়েছেন তাঁদের পূর্ববর্তী শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর। এবং সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১১ সালে ৪৬ শতাংশ ইঞ্জিনিয়ার ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার সফল হয়েছিলেন, ২০২০ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার সফল হয়েছেন ৬৫ শতাংশ ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র-ছাত্রী। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে ২০১১ সালে মেডিক্যাল ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যের হার ১৪ শতাংশ ছিল, ২০২০ সালে তা নেমে এসেছে ৪ শতাংশে। অন্যদিকে হিউম্যানিটিস নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এমন পড়ুয়ারা ২০১১ সালের ইউপিএসসি-তে সফল হয়েছিলেন ২৩ শতাংশ। এবং ২০২০ তে সেই সাফল্যের হার ২৮ শতাংশ। মাঝখানে হিউম্যানিটিসের ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যের হার বেড়ে গিয়েছিল ২০১২ সালে। সেবার ৪০ শতাংশের বেশি ছাত্র-ছাত্রী সফল হন ইউপিএসসি-তে (UPSC)।
ইতিমধ্যে কমিটি আর্জি জানিয়েছে, ইউপিএসসির সমস্ত পর্ব যাতে ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। কমিটির মতে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরকারের যোগসূত্র গড়ে তোলেন সিভিল সার্ভেন্টরা। তাই একজন দক্ষ এবং পেশাদার সিভিল সার্ভেন্ট (UPSC) গড়ে তুলতে ভাল মানের প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে ঐ রিপোর্টে। কমিটির পরামর্শ, আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হলে কীভাবে সিভিল সার্ভেন্টরা তা নিয়ন্ত্রণ করবেন, এ বিষয়ে সব থেকে জোর দিতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: