Genius Tales: অঙ্কের বিস্ময় বালক ছিলেন সত্যম! জানুন তাঁর অবাক করা সাফল্যের কথা
বিস্ময় প্রতিভা সত্যম কুমার। ছবি— সংগৃহীত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি-জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাকে দেশের মধ্যে অন্যতম কঠিন পরীক্ষা বলে গণ্য করা হয় (Success Story)। দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার স্বপ্ন কে না রাখে! তবে সুযোগ পায় ক'জন! প্রতিবছর কয়েক লক্ষ পড়ুয়া আইআইটির জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে মাত্র কয়েকশো জনই (Genius Tales) আইআইটিতে পড়ার সুযোগ পাযন। কঠিন এই পরীক্ষাতে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই সফল হন বিহারের সত্যম কুমার। যাঁকে অঙ্কের জিনিয়াস বলেও ডাকা হয়। আজকে আমরা জানব সত্যম কুমারের প্রেরণাদায়ক যাত্রা (Success Story)।
সত্যম কুমার আদতে বিহারের ভোজপুর জেলার বাসিন্দা। তাঁর পিতা পেশায় একজন কৃষক। সত্যম কুমার প্রথমবারের জন্য আইআইটি জয়েন্ট এন্টান্স পরীক্ষায় বসেছিলেন ২০১১ সালে। সেবারে তাঁর র্যাঙ্ক হয় ৮,১৩৭। এই র্যাঙ্কে সত্যম সন্তুষ্ট হন না। এর পর ফের একবার নতুন উদ্যমে শুরু করেন পড়াশোনা। কঠিন অধ্যাবসায়ের ফল মিলতে (Success Story) সময় লাগে মাত্র ১ বছর। ২০১২ সালেই সত্যম পুনরায় আইআইটি পরীক্ষায় বসেন এবং সে বছর তাঁর র্যাঙ্ক হয় ৬৭৯। ২০১২ সালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। সত্যমের এমন সাফল্যে অবাক হয়ে যায় সবাই। নিজের সাক্ষাৎকারে সত্যম কুমার জানিয়েছেন, প্রথমবার আইআইটিস এক্সামে যখন তিনি বসেছিলেন ১২ বছর বয়সে, তখন তাঁর র্যাঙ্ক নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই নতুন করে আবার সবকিছু পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে, আইআইটি কানপুরে তিনি ভর্তি হন। সেখান থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে একসঙ্গে বিটেক ও এমটেক সম্পন্ন করেন।
পরবর্তীকালে পিএইচডি করার জন্য পাড়ি দেন আমেরিকা। গবেষণা চালান ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস-এর ওপরে। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই সম্পন্ন হয় তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি। সত্যম কুমারের LinkedIn-এ প্রোফাইল রয়েছে। সেই প্রোফাইলে অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, InterDigital-এও তিনি রিসার্চ করেছেন। পরবর্তীকালে অ্যাপেল কোম্পানির ইন্টার্ন হিসেবেও কাজে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে তাঁর লক্ষ্য রয়েছে ফেসবুকের মতো সমাজ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলিকে আরও কীভাবে উন্নত করা যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।