জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডি বলে, "জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ কখনওই তদন্তে সহযোগিতা করেননি।"
Jacqueline Fernandez
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০ কোটি টাকা তছরূপ-কাণ্ডে ইতিমধ্যে নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ-এর (Jacqueline Fernandez)। আর তারই মধ্যে বিস্ফোরক অভিযাগ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকাল, শনিবার, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি টাকা তছরূপ মামলা চলাকালীন অভিনেত্রী দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাট করার অভিযোগও এনেছে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময়ের প্রথম থেকেই তিনি সহযোগিতা করছিলেন না।
দিল্লির আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন জ্যাকলিন (Jacqueline Fernandez)। সেই মামলারই শুনানি চলছিল। সেসময় জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বিস্ফোরক দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের বক্তব্য, অভিনেত্রী নাকি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গত বছর লুক-আউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করার কারণে তাতে সক্ষম হননি বলে ইডি-র অভিযোগ। জামিন আবেদনের শুনানি চলাকালীন ইডি অভিযোগ জানায়, জ্যাকলিন তাঁর মোবাইল ফোন থেকে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছিলেন। ইডি আরও বলে, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ কখনওই তদন্তে সহযোগিতা করেননি, প্রমাণ পেশ করার পর কেবল মুখ খুলেছেন তিনি।
অন্যদিকে জ্যাকলিনের (Jacqueline Fernandez) আইনজীবী জানান, ইডির তরফে মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি পাঠানো হয়নি। আদালতের তরফে এরপরই নির্দেশ দেওয়া হয় যে ইডি যেন মামলার যাবতীয় নথি অভিনেত্রীকে পাঠানো হয়। আগামী ১০ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। গতকাল ইডি আরও অভিযোগ করেছে যে, তদন্ত চলাকালীন প্রথম থেকেই জ্যাকলিন সহযোগিতা করতে চাননি। এমনকি আর্থিক প্রতারণা মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তথ্য প্রমাণ পেশ করা হলেও, জ্যাকলিন তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেন। অভিনেত্রীর আচরণ নিয়েও আদালতে অভিযোগ করা হয় ইডির তরফে।
গতকাল দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে আদালত অভিনেত্রীর (Jacqueline Fernandez) সুরক্ষার মেয়াদ আরও কিছুদিন বাড়িয়েছে বলেই খবর সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে আপাতত আরও কয়েকদিন স্বস্তি পাবেন জ্যাকলিন। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী নোরা ফতেহি-এর নামও জড়িয়ে পড়েছিল। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু ইডির দাবি, নোরা এই তদন্তে সহযোগিতা করেছিলেন।