১৯৯২ সালে এর আগেও ওনাকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করেছিল ভারত সরকার...
আশা পারেখ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাদাসাহেব ফালকে (Dadasaheb Phalke) পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন 'লাভ ইন টোকিও'-র নায়িকা আশা পারেখ (Asha Parekh)। সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য ভারতীয় চলচ্চিত্রের (Indian Films) সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে তাঁকে। এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে এর আগে ভারত সরকার পদ্মশ্রী সম্মানেও (Padma Shri) ভূষিত করেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানিয়েছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারিভাবে অভিনেত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে এই পুরস্কার। শেষবার ২০১৯ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। গত দু’বছর করোনার জন্য এই অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবছর দাদাসাহেব ফালকের পুরস্কার বিতরণী উৎসব ঘিরে এক ভিন্ন উন্মাদনা চলচ্চিত্র জগতে।
১৯৫২ সালে ‘আসমান’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে হাতেখড়ি। তখন তিনি বেবি আশা পারেখ নামেই পরিচিত ছিলেন। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই অভিনয় যাত্রার শুরু তাঁর। মাঝে ব্যক্তিগত জীবনের জন্য কিছুদিন অভিনয় থেকে বিরতি নেন তিনি। পরে নাসির হুসেন পরিচালিত ছবি ‘দিল দেকে দেখো’ ছবির হাত ধরে পুনরায় প্রত্যাবর্তন হয় আশার। এরপর ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘তিসরি মঞ্জিল’, ‘দো বদন’, ‘ক্যারাভান’ এর মতো হিট ছবির নায়িকা হিসেবে দেখা মিলেছে তাঁর।
আরও পড়ুন: হটস্টারে ফিরছে রহস্যময় 'লোকি', অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের
তিনি প্রায় ৯৫টি সিনেমায় কাজ করেছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ফিল্ম (Film) সার্টিফিকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যানও ছিলেন আশা পারেখ। ১৯৯৫ সালে অভিনয় জীবন থেকে অবসরের পর গত কয়েক দশকে সেভাবে দেখা মেলেনি আশা পারেখের। তবে ফিল্ম ও টিভি সিরিয়ালের প্রযোজনা শুরু করেন তিনি।
জাতীয় পুরস্কারের কমিটিতে রয়েছেন চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। যেমন বিপুল শাহ যিনি বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদে আসীন। এছাড়াও রয়েছেন ধর্ম গুলাটি, শ্রীলেখা মুখোপাধ্যায় (Sreelekha Mukherji) , জিএস ভাস্কর, এস থাঙ্গাদুরাই, সঞ্জীব রত্তন, কার্তিক রাজা, ভিএন আদিত্য, ভিজি থামপি, থাঙ্গাদুরা, নিশিগন্ধা এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
প্রসঙ্গত ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রথা ভেঙে ১৩৭ জন পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে শুধুমাত্র নির্বাচিত ১১ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন। এর প্রতিবাদে ২০১৮ সালে প্রায় ৫০ জনের বেশি পুরস্কার প্রাপক ৬৫ তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে (National Film Festival) যোগদান করেননি। যদিও ন্যাশানাল ফিল্ম ডেভলপম্যান্ট কর্পোরেশনের (NFDC) কর্ণধার রবিন্দর ভাকর জানিয়েছেন, ঐতিহ্য বজায় রেখে মাননীয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু (President Draupadi Murmu) এই বছর পুরস্কার প্রাপকদের হাতে জাতীয় পুরস্কার তুলে দেবেন।