Sania Mirza: ধর্মীয় আইন মেনেই সানিয়া বিচ্ছেদ দিয়েছেন শোয়েবকে, ফের বিয়ের বন্ধনে পাক ক্রিকেটার
সানিয়া মির্জা। বিয়ের পর শোয়েব মালিক ও সানা জাভেদ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচ্ছেদ হয়ে গেল শোয়েব-সানিয়ার (Shoaib-Sania Relation)। আবার বিয়ে করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে নিজেই জানালেন বিয়ের কথা। পাক অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছবিও পোস্ট করেছেন শোয়েব।
২০১০ সালের ১২ এপ্রিল এক হয়েছিল চার হাত। সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই ভেসে উঠত সানিয়া-শোয়েবের ছবি। তাঁদের একটি ছেলে রয়েছে। গত বছর থেকেই সানিয়া এবং শোয়েবের সম্পর্কে চিড় ধরার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সানিয়ার বাড়িতে ইফতার পার্টিতে ছিলেন না শোয়েব। বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিকের মধ্যে কিছু ঠিক নেই। তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। শোনা যাচ্ছিল বিচ্ছেদের গুঞ্জন। অবশেষে সেই গুঞ্জনে সিলমোহর পড়ল। শনিবার সকালে শোয়েব তাঁর বিয়ের ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই দেখা যায় তিনি পাক অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে বিয়ে করেছেন। দুজনের পরনেই বিয়ের পোশাক। শোয়েবের পরনে সাদা শেরওয়ানি, ওড়না। অন্যদিকে সানা জাভেদের পরনে আইভরি রঙের লেহেঙ্গা, জড়োয়া গয়না।
- Alhamdullilah ♥️
— Shoaib Malik 🇵🇰 (@realshoaibmalik) January 20, 2024
"And We created you in pairs" وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا pic.twitter.com/nPzKYYvTcV
এদিন, সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা জানিয়েছেন, ধর্মীয় আইন মেনেই সানিয়া বিচ্ছেদ দিয়েছেন শোয়েবকে। একটি ওয়েবসাইটে ইমরান জানিয়েছেন, ‘খুলা’ নিয়মের মাধ্যমে সানিয়া এবং শোয়েবের ডিভোর্স হয়েছে। শরিয়ত আইন অনুযায়ী, ‘খুলা’ হল মহিলাদের একটি অধিকার যার মাধ্যমে তাঁরা একপাক্ষিক ভাবে স্বামীকে বিচ্ছেদ দিতে পারেন। সেই আইনের মাধ্যমেই সানিয়া শোয়েবকে বিচ্ছেদ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সানিয়া এখন ব্যস্ত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ধারাভাষ্য দিতে। সমাজমাধ্যম থেকে শোয়েবের সঙ্গে নিজের সব ছবিও সরিয়ে দিয়েছেন সানিয়া। একটিমাত্রই ছবি রয়েছে। সেখানে সানিয়া এবং শোয়েবের সঙ্গে তাঁদের ছেলে ইজহান রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২০৩৬ অলিম্পিক্স আয়োজনে ত্রুটি রাখবে না ভারত! আশার কথা শোনালেন মোদি
উল্লেখ্য, বুধবার সানিয়ার একটি পোস্টে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। ভারতের টেনিস সাম্রাজ্ঞী যে পোস্ট করেছিলেন তার অর্থ, ‘‘বিয়ে কঠিন। বিচ্ছেদও কঠিন। নিজের কঠিনটাকে বেছে নিন। স্থূলতা ভাল নয়। ফিট থাকাও কঠিন। নিজের কঠিনটা বেছে নিন। ঋণের মধ্যে থাকা কঠিন। অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন। নিজের কঠিনটা বেছে নিন। যোগাযোগ রাখা কঠিন। যোগাযোগ না রাখাও কঠিন। নিজের কঠিনটাকে বেছে নিন। জীবন কখনও সহজ নয়। এটা সব সময় কঠিন। কিন্তু আপনি আপনার কঠিনটা বেছে নিতে পারেন। বেছে নিন।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।