২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলায় নোরাকে টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
নোরা ফাতেহি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez)-এর পরে গতকাল নোরা ফতেহি (Nora Fatehi)-কে সমন করেছিল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। ফলে সময় মতো দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং (EOW) -এর অফিসে পৌঁছে গিয়েছিলেন নোরা। ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলায় (Money Laundering Case) মন্দির মার্গের সদর দফতরে নোরাকে টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বলি সুন্দরীকে জেরা করার সময়ে অনেক তথ্যই উঠে এসেছে, যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
নোরা ফতেহি বলেছেন, 'তিনি এই ষড়যন্ত্রের শিকার, ষড়যন্ত্রকারী নয়।' গতকাল নোরার পাশাপাশি জেরা করা হয় পিঙ্কি ইরানিকেও। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিন ও নোরার সঙ্গে আলাপ করিয়েছিলেন এই পিঙ্কি। নোরা এদিন দাবি করেন যে, তাঁর সঙ্গে সুকেশের কখনও সাক্ষাৎ হয়নি, শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছিল। এবং হোয়াটসঅ্যাপের সেই মেসেজের স্ক্রিনশটগুলিও দেখিয়েছেন নোরা।
আরও পড়ুন: ৮-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ জ্যাকলিনকে, এবার দিল্লি পুলিশের জেরার মুখে নোরা
তিনি তাঁর তামিলনাড়ুতে "চ্যারিটি" ইভেন্টে সফরের বিস্তারিত ঘটনাও বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি এক্সসিড এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের প্রোমোটার আফসার জাইদির আমন্ত্রণে সেই ইভেন্টে গিয়েছিলেন ও অনুষ্ঠানটি সুপার কার আর্টিস্ট্রি দ্বারা অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল। এরপর তদন্তকারীরা প্রশ্ন করেন যে, এই ইভেন্টে যাওয়ার জন্য কে তাঁর খরচের জন্য টাকা দিয়েছেন, তখন নোরা সুকেশের স্ত্রী লীনা পলের (Leena Paul) নাম উল্লেখ করেন। অফিসারদের আরও বলেছিলেন যে লীনা একটি ইভেন্টে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তাঁকে একটি গুচি ব্যাগ এবং একটি আইফোন উপহার দিয়েছিলেন এবং তখনই তিনি জানতে পারেন যে তাঁকে একটি বিএমডব্লিউ উপহার দেওয়া হচ্ছে।
ইকোনমিক উইং-এর বিশেষ কমিশনার রবীন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তদন্তে সাহায্য করেছেন নোরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার জ্যাকলিন ও পিঙ্কিকে দিল্লি পুলিশের জেরা করার সময়ে তাঁরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। আরও জানা গিয়েছে যে, সুকেশ প্রথমে নোরাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে সুকেশ ব্যর্থ হয় ও পরে জ্যাকলিনকে তাঁর জালে ফাঁসিয়ে নেয়। ফলে জ্যাকলিন চন্দ্রশেখরের দ্বারা এতটাই প্রভাবিত হয়ে পড়েছিলেন যে, তিনি তাকে "তার স্বপ্নের মানুষ" বলে ভাবতেন। এমনকি তাঁকে বিয়ে করার কথাও ভাবতেন। পুলিশের বিশেষ কমিশনার (ইওডব্লিউ) রবিন্দর যাদব জানিয়েছেন, তবে জ্যাকলিন সুকেশের বিষয়ে জানার পরেও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙেনি। অন্যদিকে কিন্তু কিছু সন্দেহ করতে পারায় আগেই সুকেশ ও লীনার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে নেয় নোরা। ফলে গতকাল তিনি বলেছেন, 'তিনি কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মের সম্পর্কে জানতেন না'।