মুক্তির আগে থেকেই মাধবন পরিচালিত ছবিটি সংবাদ শিরোনামে।
রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট পোস্টার
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ফের খবরে শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)এবং আর মাধবন (R Madhavan)। মুক্তি পেয়েছে ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’(Rocketry: The Nambi Effect)। তামিল, হিন্দি, ইংরেজিতে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। পরিচালক হিসেবে আর মাধবনের ডেবিউ হল এই ছবির হাত ধরে। রকেট বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাধবন। ছবিটিতে কেমিও করেছেন কিং খান। শাহরুখ এক সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে সাক্ষাৎকার নেবে নাম্বির। প্রায় চার বছর পর বড় পর্দায় ফিরলেন শাহরুখ খান। 'জিরো' ছিল তাঁর অভিনীত শেষ ছবি। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ছবিটি। তাই এতদিন পরে বলিউড কিং- এর কামব্যাকে বেজায় খুশি ভক্তরা।
আরও পড়ুন: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন
মুক্তির আগে থেকেই মাধবন পরিচালিত ছবিটি সংবাদ শিরোনামে। সম্প্রতি এই সিনেমা সংক্রান্ত একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবিতে ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের (Nambi Narayanan) সঙ্গে পোজ দিতে দেখা গিয়েছে শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor), করণ জোহর (Karan Johar), আর মাধবন, আয়ন মুখার্জীদের (Ayan Mukherjee)। ছবিতে দেখা যাচ্ছে নাম্বি নারায়ণনের মতোই হুবহু সেজে রয়েছেন আর মাধবন। ছবিটি 'রকেট্রি'- শুটিং সেট- এর। এক ফ্রেমে তিন সুপারস্টারকে দেখে উচ্ছসিত ভক্তকুল।
View this post on Instagram
" style=" background:#FFF; border:0; border-radius:3px; box-shadow:0 0 1px 0 rgba(0,0,0,0.5),0 1px 10px 0 rgba(0,0,0,0.15); margin: 1px; max-width:540px; min-width:326px; padding:0; width:99.375%; width:-webkit-calc(100% - 2px); width:calc(100% - 2px);">
২০১৮ সালে শাহরুখের জিরো ছবিতে কেমিও করেছিলেন মাধবন। আর তখনই এই সিনেমার গল্প শুনিয়েছিলেন শাহরুখকে। শুনেই পছন্দ হয়ে যায় বাদশার। এমনকী, নিজের জন্মদিনের পার্টিতেও মাধবনকে বলেছিলেন, ‘ম্যাডি আমি তোমার ছবিতে কিন্তু কাজ করতে চাই। আমাকে জানিও কখন কী হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: পাঁজি দেখে মঙ্গলে রকেট পাঠায় ইসরো, মন্তব্যে ট্রোলড মাধবন
কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে আর মাধবনের (R Madhavan) ছবি 'রকেট্রি- দ্য নাম্বি এফেক্ট'। ছবিটি যেমন বক্স অফিসে সাফল্য পাচ্ছে, তেমনই এই ছবির জন্য মাধবন প্রশংসিত হচ্ছেন বিভিন্ন মহলে।
কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকতেই নামের পাশে সেঁটে গিয়েছিল ‘দেশদ্রোহী’ তকমা। চরবৃত্তির অভিযোগে চাকরি গিয়েছিল, জেলও খাটতে হয়েছিল বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে। সেই বদনাম কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছে দুদশকেরও বেশি। অবশেষে সুবিচার পেলেও, সেই সময় আর ফিরে আসেনি। ক্ষতিপূরণে অর্থ পেলেও সত্যিকারের ক্ষতিটা পূরণ করা যায়নি। ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের জীবনের একটি কলঙ্কিত অধ্যায়কেই দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং চাকরির প্রতি নিষ্ঠা থাকায় কত বড় মূল্য দিতে হয়েছিল এই বিজ্ঞানীকে, সেই কাহিনীই তুলে ধরা হয়েছে। নাম্বির পিএইচডি প্রোগ্রামে সুযোগ পাওয়া থেকে নাসাতে চাকরি পাওয়া পর্যন্ত সবকিছুই দেখানো হয়েছে এই ছবিতে।