KK: মুখাগ্নি করলেন ছেলে নকুল কুন্নাথ।
পঞ্চভূতে বিলীন কেকে। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের জলে কেকে-কে (KK) বিদায় জানালেন পরিবার-পরিজন-ভক্তরা। মুম্বাইয়ে ভারসোভা (Varsova) শ্মশানে গায়কের শেষকৃত্য (Last Rites) সম্পন্ন হল। মুখাগ্নি করলেন ছেলে নকুল কুন্নাথ। শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী জ্যোতি ও মেয়ে তামারা কুন্নাথ।
প্রিয় বন্ধুকে শেষবারের জন্যে দেখতে এদিন গায়কের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল, হরিহরণ, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, আকৃতি কক্কর, সেলিম মার্চেন্ট, রাঘব সাচার, সুদেশ ভোঁসলে, অলকা ইয়াগনিক, জাভেদ আলি, জাভেদ আখতার, শঙ্কর মহাদেবন-এর মত সঙ্গীত জগতের ব্য়ক্তিত্বরা। শ্মশানের বাইরে প্রিয় গায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শ্মশানের বাইরে উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য গুনমুগ্ধ ভক্ত। চোখের জলে শেষ বিদায়। পঞ্চভূতে বিলীন হলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। চিতার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে কেকে-র অটোপসি রিপোর্ট, কী আছে রিপোর্টে?
মঙ্গলবার কলকাতায় নজরুল মঞ্চে এক কলেজের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার পরে হোটেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে গায়কের। বুধবার সকালে তাঁর পরিবার মুম্বাই থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: শিল্পী বেঁচে থাকে তাঁর সৃষ্টিতে! কে কে-এর কালজয়ী ১০টি গান
বুধবার কলকাতায় গানস্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানোর পর রাতে মুম্বই পৌঁছয় কেকে'র নশ্বর দেহ ৷ বিকেলেই কলকাতা থেকে মুম্বই রওনা দিয়েছিল শিল্পীর পরিবার ৷ তারা রাত সওয়া আটটা নাগাদ পৌঁছে যায় মুম্বইয়ে৷ ভারসোভা এলাকার পার্ক প্লাজা কমপ্লেক্সে থাকতেন কেকে ৷ সেখানকারই হলেই আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তাঁর দেহ শায়িত ছিল ৷ শিল্পীকে সেখানেই শেষশ্রদ্ধা জানান পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তরা ৷ এরপর শ্মশানের উদ্দেশ্যে শিল্পীকে নিয়ে রওনা হয় তাঁর পরিবার।
কেকে-র মৃত্যু নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা থাকলেও, প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনেই মৃত্যু হয়েছে গায়কের।