Tarun Majumdar: রসায়নের ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির নেশায় তিনি বিনোদন জগতে পা রাখেন
তরুণ মজুমদার অসুস্থ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ বর্ষীয়ান চিত্রপরিচালক (Film Director) তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ভর্তি রয়েছেন তিনি। আইসিইউতে (ICU) চিকিৎসা চলছে তাঁর। কোভিড টেস্ট করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। রিপোর্ট এখনও চিকিৎসকের হাতে এসে পৌঁছয়নি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিডনি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে পরিচালকের।
তরুণ মজুমদারের কিডনির সমস্যা নতুন নয়। ২০০০ সাল থেকে এই রোগে ভুগছেন তিনি। এছাড়াও রয়েছে ফুসফুসের সমস্যা ও ডায়াবেটিস। চেস্ট মেডিসিন চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষের নেতৃত্বে পাঁচজন চিকিৎসকের একটি দল সারাক্ষণ পরিচালকের শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রেখেছেন। ক্যাথিটার দিয়ে তাঁকে প্রস্রাব করানো হচ্ছে বলে খবর। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় বর্ষীয়ান পরিচালকের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবারই তার রিপোর্ট আসার কথা।
আরও পড়ুন: কিশোর কুমারের চারটি বিয়ে! এই বিষয়ে কী বললেন তাঁর পুত্র অমিত কুমার
পরাধীন ভারতবর্ষে জন্ম হয় এই কিংবদন্তি পরিচালকের। বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। রসায়নের ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির নেশায় তিনি বিনোদন জগতে পা রাখেন। শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে ‘যাত্রিক’ নামে একটি দল তৈরি করে সিনেমা পরিচালনার কাজ শুরু করেন তিনি। এই তিন পরিচালকের তৈরি প্রথম সিনেমা ‘চাওয়া পাওয়া’। এই সিনেমায় অভিনয় করেন সর্বকালীন সেরা জুটি উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন। এই ত্রয়ীর পরের ছবি‘কাঁচের স্বর্গ’। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল ছবিটি।
আরও পড়ুন: দিলীপ কুমারের স্মৃতিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সায়রা বানু
১৯৬৫ সালে ‘যাত্রিক’ থেকে বেরিয়ে এসে একা ছবি বানানো শুরু করেন তরুণ মজুমদার। সে বছর ‘আলোর পিপাসা’ এবং ‘একটুকু ভালবাসা’ নামের দুটি সিনেমা তৈরি করেন তিনি। তারপর থেকে একের পর এক সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই পরিচালক। সেই তালিকায় রয়েছে ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আলো’- র মতো সব জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা। নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিক জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তরুণ মজুমদার।
তাঁর সংগ্রহে রয়েছে চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বিএফজেএ সম্মান, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং একটি আনন্দলোক পুরস্কার। ১৯৯০ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০১৮ সালে মুক্তি পায় তরুণ মজুমদার পরিচালিত শেষ ছবি ‘ভালোবাসার বাড়ি’। ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও প্রতীক সেন।