হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তারাদের দেশে পাড়ি ‘ভালো থেকো’র পরিচালক গৌতমের
প্রয়াত গৌতম হালদার।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাদের দেশে পাড়ি দিলেন বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক গৌতম হালদার। শুক্রবার সকালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে তিনি অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালনের প্রথম ছবি ‘ভালো থেকো’র পরিচালক গৌতম। এবারের পুজোতেও গৌতম হালদারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন বিদ্যা। কেবল বিদ্যা নন, তাঁর ‘নির্বাণ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাখি গুলজারও। বিদ্যা-রাখিকে পরিচালনার পাশাপাশি বাংলা নাট্যজগতের উল্লেখযোগ্য নাম গৌতম। তাঁর নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয়েছে বহু নাটক। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি প্রায় ৮০টি নাটকের নির্দেশক ছিলেন। যে নাটকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’। ‘রক্তকরবী’র নন্দিনী চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল। তাঁর কথায়, "মনে হচ্ছে দ্বিতীয়বার বাবাকে হারিয়েছি। এই যন্ত্রণা সহ্য করা যায় না।" চৈতি ঘোষাল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, 'গৌতম দা ভালো থেকো। আর নাগাল পাওয়া যাবে না। নন্দিনী'। তাসলিমা নাসরিনও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই খবরটি পেয়েছে চমকে উঠেছেন। লিখেছেন, 'এই তো সেদিন কথা হল।' উস্তাদ আমজাদ আলি খানের বিশেষ ঘনিষ্ঠ ছিলেন গৌতম। ১৯৯৯ সালে সরোদ শিল্পীকে নিয়ে গৌতম তৈরি করেন ‘স্ট্রিংস ফর ফ্রিডম’ তথ্যচিত্রটি।
কেরিয়ারের শুরুতে সিনেমা পরিচালনার মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন গৌতম। ২০০৩ সালে মুক্তি পায় তাঁর পরিচালিত ছবি ‘ভালো থেকো’। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর হালদার প্রমুখ। উল্লেখ্য, এই ছবিটিই বিদ্যা বালনের কেরিয়ারের প্রথম ছবি। ছবিটি সেরা অডিয়োগ্রাফি, সেরা সিনেমাটাগ্রাফির জাতীয় পুরস্কার-সহ বিশেষ জুরি পুরস্কারও জিতে নেয়। ২০১৯ সালে মুক্তি পায় গৌতম পরিচালিত ছবি ‘নির্বাণ’। গৌতমের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলার বিনোদন জগৎ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।