Madhya Pradesh: স্ত্রী ও বাবা-মায়ের মধ্যে আর্থিক সাহায্যের সমান ভাগ, ‘নেক্সট টু কিন’ প্রকল্পে বড় ঘোষণা মধ্যপ্রদেশে

Financial Support: ‘নেক্সট টু কিন’ প্রকল্প নিয়ে মোহন যাদব সরকারের কী নির্দেশ জানেন?…
Madhya_Pradesh
Madhya_Pradesh

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের মধ্যে আর্থিক সাহায্যের সমান ভাগের কথা জানিয়ে 'নেক্সট টু কিন' বিতর্কের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাকর্মী অংশুমান সিং-এর মরণোত্তর সম্মান ‘কীর্তি চক্র’ নিয়ে তাঁর বাবা-মা দাবি করেছিলেন, এই সম্মাননা নিয়ে পুত্রবধূ বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন। একই ভাবে ‘নেক্সট অফ কিন’ নীতি বদলের কথাও তুলেছেন তাঁরা। ঠিক এমন অবস্থায় মধ্যপ্রদেশের মোহন যাদবের সরকার ঘোষণা করেছেন, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে আর্থিক সহায়তা তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বাবা-মাকেও দেওয়া হবে। রাজ্যের পুলিশ বিভাগে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।

‘নেক্সট অফ কিন’ প্রকল্পে সরকারের ঘোষণা (Madhya Pradesh)

মধ্যপ্রদেশের বীরগতি প্রাপ্ত জওয়ান অংশুমানের বাবা-মা ‘নেটক্স অফ কিন’ প্রকল্পে বদলের দাবি করেছিলেন। মাত্র কয়েক দিনের মাথায় মধ্যপ্রদেশ সরকার এই নির্দেশিকা জারি করেছে। এই প্রকল্পে বলা হয়েছে, কোনও পুলিশকর্মী যদি কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয়, তাহলে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এই আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ১ কোটি টাকা। এতদিন পর্যন্ত পুলিশ কর্মী বিবাহিতা হলে এই আর্থিক সাহায্যের সম্পূর্ণ টাকা পেতেন কেবলমাত্র তাঁর স্ত্রী। কিন্তু এবার থেকে নতুন ঘোষণায় স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাবা-মা পাবেন ৫০ লাখ এবং স্ত্রী পাবেন ৫০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে বিশেষ সম্মান পেলে তার উপরও অধিকার থাকবে বাবা-মায়ের।

আরও পড়ুনঃ নিট প্রশ্ন ফাঁসের 'মাস্টারমাইন্ড' শশী সহ আরও দুই 'সলভার' কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে

নমিনির নিয়মে পুনর্বিবেচনা করুক

মাত্র কয়েকদিন আগেই ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং-এর (Madhya Pradesh) কীর্তি সম্মান নিয়ে ব্যাপক ভাবে চর্চা হয়েছিল। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সিয়াচিনের এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার করতে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে নিজে নিহত হয়েছিলেন। এরপর এই বছর ৫ জুলাই তাঁর এই কাজের সম্মানে ‘কীর্তি চক্র’ প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই সম্মান গ্রহণ করতে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলেন অংশুমানের স্ত্রী স্মৃতি এবং মা মঞ্জু। এরপর এই সম্মান পুরস্কার নিজের বাবার বাড়ি নিয়ে চলে যান স্মৃতি। পাল্টা সরব হন অংশুমানের বাবা-মা। বাবা প্রতাপ সিং বলেছেন, “আমরা চাই সরকার নমিনির নিয়মে পুনর্বিবেচনা করুক। অভিভাবকদের যাতে কষ্ট করতে না হয়।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles