Dakshin Dinajpur: মিথ্যা মামলা দিয়েও মিলল না কোনও তথ্য-প্রমাণ, বেকসুর খালাস বিজেপি নেতা

ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল, অবশেষে বিজেপি কর্মীকে মুক্তি দিল কোর্ট
Dakshin_Dinajpur
Dakshin_Dinajpur

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তথ্য প্রামাণ না থাকায় নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যকে বেকসুর প্রমাণ করল বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) জেলা আদালত। মিথ্যা মামলা দিয়েও বিজেপি কর্মীকে অভিযুক্ত করতে পারল না তৃণমূল। ফের আরেকবার মুখ পুড়ল তৃণমূলের। ওই বিজেপি নেতাকে সংবর্ধনা দিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি। বিজেপি নেতা বেকসুর খালাস হতেই তীব্র আক্রমণ করল তৃণমূলকে। বিজেপির দাবি, “বিজেপি কর্মী শান্তুনু চৌধুরী দুইবারের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তথা বটুন গ্রামপঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। তাই তৃণমূল তাঁকে মিথ্যে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়েছিল।” অবশ্য তৃণমূলের দাবি, এই মামলায় তৃণমূলের কোনও হাত ছিল না।

সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Dakshin Dinajpur)

গত বছরের অক্টোবর মাসের ওই মামলায় জেল হেফাজতেও ছিলেন ওই বিজেপি নেতা। যা নিয়ে জেলার রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছিল। তৃণমূলের তরফেও লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিলই। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে আদালত। আর এই রায়কে ঘিরেই নতুন করে শোরগোল পড়েছে জেলায় (Dakshin Dinajpur)৷ এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, “এই মামলায় তথ্য প্রমাণ না থাকায় আদালত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”

বিজেপি নেতার আইনজীবীর বক্তব্য

বিজেপি নেতার আইনজীবী সুদীপ রায় চৌধুরী বলেন, “আমার মক্কেলকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। পরবর্তীতে আদালতে (Dakshin Dinajpur) কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। ফলে এই মামলায় আমার মক্কেলকে বেকসুর খালাস করল আদালত।"

বিজেপি নেতার বক্তব্য

এবিষয়ে ওই বিজেপি নেতা শান্তুনু চৌধুরী বলেন, “আমি বটুনের ২ বারের জয়ী পঞ্চায়েত (Dakshin Dinajpur) সদস্য। তাই বটুন অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব এক নাবালিকাকে দিয়ে আমার নামে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছিল। আজ আমি বেকসুর খালাস হয়েছি। খুব ভালো লাগছে।” এবিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “তৃণমূল সব জায়গাতেই আমাদের দলীয় নেতৃত্বদের এভাবেই মিথ্যে মামলায় ফাঁসায়।”

তৃণমূলের বক্তব্য

ঘটনায় তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, “বিচার ব্যবস্থার প্রতি দলের আস্থা রয়েছে। সঠিক বিচার হয়েছে বলেই মনে করছি। তবে এখানে তৃণমূলের কখনও হাত ছিল না। বিচার বিচারের মতই চলবে।”

ঘটনা কী ঘটেছিল?

প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর মাসে কুমারগঞ্জের (Dakshin Dinajpur) বটুন গ্রামপঞ্চায়েতের কেশবপুর গ্রামের এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল পতিরাম থানায়। সেই অভিযোগ পেয়ে পতিরাম থানার পুলিস অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে। সেই ঘটনায় প্রথমে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের আদিবাসী সংগঠন। পরে পতিরামেও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে নানা জায়গায় প্রচার চালায় তৃণমূল। সেই মামলায় রায় বেরতেই ফের আলোড়ন পড়েছে জেলার রাজনীতিতে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles