মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্ত্রী। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুদীপ ঘোষ। তাঁর বাড়ি হুগলির গুড়াপে। ধনেখালি-২ মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন তিনি। ৫ অগাস্ট নদিয়ার কল্যাণীর একটি হোটেল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?
গত ৪ অগাস্ট চুঁচুড়ায় বিজেপির (BJP) হুগলি জেলা কার্যালয়ে নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুদীপ। ৩ অগাস্ট বিকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনকে ফোনে ওই বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন মগরায় রয়েছি। ৫ অগাস্ট বাড়ি ফিরব। সেদিনই পরিবারের লোকজনের কাছে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। সুদীপের দুই সন্তান আছে। সুদীপের স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষ বলেন, 'যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে, তারা শাস্তি পাক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করুক। শ্বশুর-শাশুড়ি সহ আমি অনেকবার বলেছিলাম পার্টি ছেড়ে দিতে। শুধু দলকে ভালবাসত বলে বিজেপি করত। দলকে ভালবাসতে গিয়ে নিজের প্রাণটাই চলে গেল। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তারা যেই হোক না কেন, যেন শাস্তি পায়। সুদীপের বাবা সুফল ঘোষ বলেন, 'ছেলে বিজেপি দলের সক্রিয় কর্মী। এলাকায় ভাল সংগঠন তৈরি করেছিল। আর তার এই উত্থানে শাসকদল বিপদে পড়ে যাচ্ছিল। তাদের সংগঠনের লোক কমে যাচ্ছিল। তাই ছেলেকে সরিয়ে দিতে পারলে শাসকদলের সংগঠন চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আমার ধারণা। ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।'
কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?
হুগলি জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, 'পুলিশকে না জানিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ নামিয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেও তার মাথায় একটি দাগ ছিল, পায়েতেও কালশিটে দাগ। তাই আমরা কোনওভাবে মনে করছি না এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে দলের রাজ্য নেতৃত্বেকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে।'
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
তৃণমূলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, 'এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের এত দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির (BJP) কোনও মণ্ডল সভাপতিকে মারতে যাবে। এসব ফালতু কথা। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours