FIFA World Cup: নাটকীয় ফাইনাল! টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার

এদিন চারটে গোল করায় গোল্ডেন বুট পেলেন এমবাপে। গোল্ডেন গ্লাভস মার্টিনেজ আর গোল্ডেন বল মেসির হাতে।
7VPB3I673JOHDHSHDLSTZUWBJQ
7VPB3I673JOHDHSHDLSTZUWBJQ

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাইনাল এরকমই হওয়া উচিত! ভবানীপুর থেকে চন্দননগর, টালা থেকে টালিগঞ্জ, চায়ের দোকান থেকে পাড়ার ক্লাব রবিবার রাতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল একটাই কথা। সোমবার সকালে অফিস-স্কুল! একদিনের জন্য থাক না সেই চিন্তা। আবার তো চার বছর! মেসির স্কিল, এমবাপের দৌড় ভুলিয়ে দিল সব কথা। কলকাতার অলিগলি আর্জেন্টিনার দখলে থাকলেও কোথাও কোথাও এমবাপের জন্য আফসোসও শোনা গেল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ফাইনাল দেখে তৃপ্ত ফুটবল অনুরাগীরা। গোটা ম্যাচ জুড়ে বার বার বদলাল খেলার রং। প্রথমার্ধে মেসি  (Lionel Messi) ও আঞ্জেল ডি মারিয়ার (Angel Di Maria) গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে জোড়া গোল করলেন এমবাপে (Kylian Mbappe)। অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন মেসি। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হল খেলার ফয়সালা। সেখানে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা। নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (Emiliano Martinez)। 

ম্যাচের হালচাল

ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল আর্জেন্টিনার। ফ্রান্স গোলের তেকাঠির মধ্যে একটি শট পর্যন্ত রাখতে পারেনি। ২৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি বক্স থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। উসমান দেম্বেলে পেনাল্টি বক্সে ডি মারিয়াকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। সেই পেনাল্টি থেকেই গোল করেন মেসি। প্রথম গোলটি পেনাল্টি থেকে আসলেও, দ্বিতীয় গোলে আর্জেন্টিনার দুরন্ত ফুটবলের পরিচয় মেলে। এই গোলেও মেসির অবদান ছিল। তাঁর রক্ষণভেদী পাস থেকে ফ্রান্সের পেনাল্টি বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান অ্যালেক্সিস ম্য়াক অ্যালিস্টার। তাঁর পাস থেকে অনবদ্য এক গোল করে দলকে ২-০ এগিয়ে দিলেন ডি মারিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধে ভেলকির শুরু। ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত গ্যালারি ছিল আর্জেন্টিনার দখলে। ক্রিকেটের মতো ফুটবলও যে ঘোর অনিশ্চয়তায় মোড়া তা বোঝা গেল ৮০ মিনিটের মাথায়।  মাত্র ৯০ সেকেন্ডে দুটি গোল করে এমবাপে শুধু ম্যাচই ঘুরিয়ে দিলেন না, মনে হচ্ছিল মেসির বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নকেও চুরমার করে দেবেন!নির্ধারিত সময় খেলার ফল ছিল ২-২।  অতিরিক্ত সময়ে আবার ১০৮ মিনিটের মাথায় গোল করে মেসি বুঝিয়ে দিলেন তিনিই রাজা। বৃদ্ধ হলেও যাদুকর তিনি। তবে নাটক বাকি ছিল। অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে এমবাপের শট আটকাতে গিয়ে বক্সের মধ্যেই বল হাতে লাগালেন মন্তিয়েল। সেখান থেকে হ্যাটট্রিক করে ফের ফ্রান্সকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন ২৩ বছরের তারকা। ফলে অতিরিক্ত সময় খেলার ফলাফল ছিল ৩-৩। তবে শেষরক্ষা হল না। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে তৃতীয়বারের জন্য বিশ্বজয়ী হল আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর পর কাপ পেল দিয়েগোর দেশ। স্বপ্নপূরণ হল লিওনেল মেসির। এদিন চারটে গোল করায় গোল্ডেন বুট পেলেন এমবাপে। গোল্ডেন গ্লাভস মার্টিনেজ আর গোল্ডেন বল মেসির হাতে।

আরও পড়ুন:মেসি বনাম এমবাপে! কাপ কার দখলে? ফাইনালের আগে দ্বিধাবিভক্ত ফুটবল বিশ্ব

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles