মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৭০ বছর পর ফের ভারতের মাটিতে দেখতে পারবেন চিতা (Cheetah)। কারণ খুব শীঘ্রই কিছু চিতা আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হচ্ছে। ফলে ভারতে চিতা আনার প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। শুধু তাই নয়, ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তাঁর জন্মদিন পালন করবেন মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) আফ্রিকা থেকে আনা চিতা ছেড়ে।
জানা গিয়েছে, সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে ভারতের মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে চিতাকে স্থানান্তরিত করা হবে। বহুদিন ধরেই দেশে চিতাকে আনা হবে বলে চেষ্টা করা হচ্ছিল। এবার খুব শীঘ্রই চিতা স্থানান্তরের কাজ সফল হতে চলেছে। ১৬ সেপ্টেম্বর নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোক থেকে একটি বিশেষ বিমানে মোট ৮টি চিতা আনা হবে, এর মধ্যে পাঁচটি মহিলা চিতা ও তিনটি পুরুষ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে জয়পুর বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এরপর চিতাগুলিকে হেলিকপ্টারে করে কুনো পালপুর অভয়ারণ্যে নিয়ে যাওয়া হবে, যার জন্য ৪০-৪২ মিনিট সময় লাগবে। এই চিতাগুলোর বয়স ৪-৬ বছর।
সাত সমুদ্র পেরিয়ে যারা দেশের মাটিতে আসতে চলেছে, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আফ্রিকার জঙ্গল থেকে এখানে নিয়ে আসার পর তাদের পরীক্ষা করা করার জন্যে এক বিশেষ ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে রাখার জন্য বেশ কয়েকদিন আলাদা করে রাখা হবে ও শারীরিক পরীক্ষার পর সংরক্ষিত অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীই তাঁর জন্মদিনের দিন চিতাগুলিকে একটি বিশেষ ঘরে ছেড়ে দেবেন, যেখানে তাদের ৩০ দিনের জন্য নিভৃতবাসে রাখা হবে। আটটি চিতার জন্য প্রায় ৬ বর্গমিটারের একটি পৃথক স্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার মধ্যে আবার রয়েছে ৯টি পৃথক এলাকা। ফলে নতুন অতিথিদের স্বাগত করার জন্যে কুনো জাতীয় উদ্যান রীতিমতো সেজে উঠেছে।
আরও পড়ুন: চিতা বাঁচাতে কুনো ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় হাজার কুকুরকে অ্যান্টি র্যাবিস প্রতিষেধক
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর চিতাগুলি মুক্ত প্রকৃতিতে ছাড়ার কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন, তাই এই কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। এছাড়াও রবিবার কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব কুনো পালপুর অভয়ারণ্য পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিনি তখন জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা নামিবিয়া থেকে আগামী পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। ভারতে যাতে আবার চিতার বংশবৃদ্ধি করানো যায়, তার জন্যেই ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে ভারত থেকে চিতা বিলুপ্তপ্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভারতের শেষ চিতা ১৯৪৭ সালে ছত্তিশগড়ের কোরিয়ার সাল জঙ্গলে মারা গিয়েছিল। ফলে সরকারের এই চিতা স্থানান্তরের প্রকল্পের জন্য দেশের মাটিতে ফের দেখা পাওয়া যাবে বিশ্বের দ্রুততম প্রাণীর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours