মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্তিষ্কে বুদ্ধির বিকাশের জন্য সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। মূলত পড়ুয়াদের জন্যই হেলদি ডায়েট ভীষণ প্রয়োজন। ছাত্র জীবনে জ্ঞান অর্জনের জন্য মানসিকভাবে সুস্থ থাকা দরকার। সুস্থ থাকতে এবং পড়াশোনার দিক ঠিক রাখতে বাজার চলতি ফাস্ট ফুড (Fast Food) এড়িয়ে চলাই ভাল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কে বুদ্ধির বিকাশ হয়। বজায় থাকে মানসিক স্থিতিও। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার বুদ্ধির বিকাশের জন্য প্রয়োজন—
সব রকমের বাদাম: সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় বাদাম রাখার কথা প্রায় প্রত্যেক চিকিৎসক এবং ডায়েটিশিয়ানরা বলে থাকেন। কাঁচা বাদাম মাংসপেশি মজবুত রাখে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সার প্রতিরোধ গড়ে তোলে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা বাদামে প্রোটিন, ফ্যাটের পাশাপাশি ভিটামিন-ই সহ আরও অনেক উপকারি উপাদান রয়েছে। আখরোটেও (Walnut) রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। আখরোটে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাট মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের সজীবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
ডিম: সিদ্ধ ডিম (Boil Egg) সবচেয়ে উপকারি। সিদ্ধ ডিম খাবার হজমে, হাড় সুদৃঢ় করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকায় চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ফ্যাট। সিদ্ধ ডিম শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশে বিশেষ কার্যকরী।
তৈলাক্ত মাছ: চর্বি যুক্ত মাছে (Fatty Fish) প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ওমেগা-থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা আর্থারাইটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন মাছ খেলে মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
আরও পড়ুন:ত্বকে ট্যান পড়েছে? রইল কিছু ঘরোয়া উপায়
বিট ও বেরি: বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও আয়রন। বিট ও বেরিতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় এগুলি ওজন নিয়ন্ত্রণ ও হজমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিট ও বেরিতে (Berry) রয়েছে নাইট্রেট নামে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যা শরীরে নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে। নাইট্রিক আসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
শাকসবজি: দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি যুক্ত করা উচিত। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চোখের সমস্যা কমাতে প্রতিদিন খাবারের পাতে শাকসবজি অবশ্যই রাখতে হবে। পালং শাক রক্তে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখে। লাল শাক খেলে বজায় থাকে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। ডাটা শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি (Vitamin C) ও ফলিক অ্যাসিড। এগুলি ত্বক ও চুলের (Skin & Hair) ক্ষয় রোধ করে।
+ There are no comments
Add yours