মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর তিন দিন প্রায় ৯ ঘণ্টা শয়নে থাকেন খড়দার (Khardah) শ্যামসুন্দর। এই সময় তিনি ভোগও খান পরিমিত। প্রায় সারাদিন ধরে মন্দিরের দরজাও বন্ধ থাকে। ভক্তরা পুজো দিতে এলেও শ্যামসুন্দরের দেখা পান না। প্রায় ৫০০ বছর ধরে খড়দার শ্যামের মন্দিরে এই নিয়ম চলে আসছে।
দুর্গাপুজোর তিনদিন ৬ পদের ভোগ খান শ্যামসুন্দর (Khardah)
এমনিতেই খড়দার (Khardah) শ্যামসুন্দর মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য হাজার হাজার ভক্তের সমাগময় সমাগম হয়। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত দুপুর একটা নাগাদ শ্যামসুন্দর অন্ন ভোগ গ্রহণ করেন। অন্ন ভোগে তেরো রকমের পদ থাকে। তারপরই তিনি শয়নে যান। বিকেল পাঁচটার পর মূল মন্দিরে তিনি বিরাজ করেন। কিন্তু, পুজোর সময় সেই নিয়মে ছেদ করে। ষষ্ঠীর দিন পর্যন্ত সারা বছরের বাধা ধরা নিয়ম মেনেই ভোগ নিবেদন করা হয় শ্যামসুন্দরকে। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী পর্যন্ত নিয়মের পরিবর্তন হয়। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর এই তিন দিন শ্যামসুন্দর সকাল আটটার মধ্যে অন্ন ভোগ খান। পদ হিসেবে থাকে, অন্ন, ডাল, পোস্ত, চচ্চড়ি সহ ৬টি পদ। সকাল আটটার মধ্যে অন্ন ভোগ গ্রহণ করেই তিনি শয়নে চলে যান। মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতরেই রয়েছে শয়ন কক্ষ। সেই শয়ন কক্ষে সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তিনি ঘুমিয়ে থাকেন। বিকেল পাঁচটার পর ঘুম থেকে উঠে তাঁকে ফল ও মিষ্টি ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে আধঘন্টা আরতী করা হয়। রাত সাড়ে নটা পর তিনি শয়নে চলে যান। পরের দিন ভোর সাড়ে চারটে থেকে শ্যামসুন্দরের নিত্যপুজো শুরু হয়।
পুজো প্রসঙ্গে কী বললেন মন্দিরের এক সেবাইত?
নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর উত্তরসূরী অশেষ গোস্বামী বলেন, সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর দিন খড়দা (Khardah) সহ জেলার বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজোয় বিভিন্ন জায়গায় পাঁঠা বলি হয়। শ্যামসুন্দর সেটা দেখতে পারেন না। তাই সকালেই তিনি শয়নে চলে যান। যুগ যুগ ধরে এই নিয়মেই চলে আসছে। পুরানো রীতি-নীতি ঐতিহ্য মেনেই আমরা সেই নিয়মই পালন করে চলেছি। পুজোর সময় সকালের পর বেলায় মন্দিরে ভক্তরা আসলে শ্যামসুন্দরের দেখা পাবেন না। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পুজো হয় না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours