মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যতটা প্রাচীন ভাবা হয় তার চেয়ে অনেক নবীনতম পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। সম্প্রতি এই বিষয়টি গবেষকদের গবেষণায় উঠে এসেছে।চাঁদের নমুনাগুলি অধ্যয়ন করার সময় জানা গিয়েছে তা পৃথিবী স্থিত শিলাগুলির আইসোটোপের সাথে অনুরূপ মিল রয়েছে চাঁদ হতে সংগ্রহকৃত শিলাখন্ডগুলোর।
গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে হাজার বছরের বেশি নয়, মাত্র কয়েক ঘণ্টায় সংঘর্ষের মাধ্যমে তৈরি চাঁদের। তবে এই নিয়েও গবেষকদের মধ্যে বিবাদ থাকলেও চাঁদের (লুনা) গঠনের তত্ত্বগুলো যেমন আকর্ষণীয় তেমনি বৈচিত্র্যময়।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে থেইয়া নামক এক গ্রহের সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষের ফলে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছে।থেইয়া বা থেয়া মোটামুটি মঙ্গল গ্রহের আকারের ছিল।প্রসঙ্গত থেইয়া হল গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীর টাইটানগুলির একটির নাম। জিরকনস নামক চাঁদের এক খনিজ পদার্থের ওপর গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
১৯৭১ সালে চাঁদের বুকে অ্যাপোলো-১৪ মিশন পাঠানো হয়। তখন জিরকনস খনিজ পদার্থটি সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া-লস অ্যাঞ্জেলেসের অপর একটা গবেষণায় এই একই তথ্য সামনে এসেছে।
[tw]
🌖🌗🌘🌑🌒🌓🌔Esto seguro ya lo vieron, pero es fascinante: la simulación de cómo se cree que se formó la Luna... ¡en horas! 👇https://t.co/sMYHlqXM1T
— Nora Bär (@norabar) October 24, 2022
[/tw]
চাঁদের প্রকৃত বয়স জানবার জন্য বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকৃত বয়স জানা সম্ভব হয়নি । এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসের আর্থ, প্লানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স বিভাগের রিসার্চ জিওকেমিস্ট মেলানি বারবোনি বলেন, ‘আমরা অবশেষ চাঁদের একটি সর্বনিম্ন বয়স স্থির করেছি।’ নতুন এই গবেষণায় বলা হয়েছে সৌরজগত সৃষ্টির ৬০ মিলিয়ন বছর পর চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল।
গবেষণার সহকারী কেভিন ম্যাককীগান বলেন, ‘জিরকন সময় নির্ধারণের একটি সেরা প্রাকৃতিক উপদান। গ্রহ উপগ্রহ কিংবা জোতিষ্ক প্রভৃতির সৃষ্টি কোথায় হয়েছিল এটি জানানোর জন্য এটি চমৎকার একটি খনিজ উপাদান।’
যদিও বেশিরভাগ ব্যাখ্যা অনুমান করে যে চাঁদ পৃথিবী এবং থেইয়ার সংঘর্ষের ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয়েছে, মাস বা বছর ধরে কক্ষপথে একত্রিত হয়ে, সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এমন একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে যা এই সময়কালকে কয়েক ঘন্টায় কমিয়ে দেয়। এই তত্ত্ব সম্বলিত গবেষণা পত্রটি ৪ অক্টোবর, ২০২২-এ দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত হয়েছিল।
+ There are no comments
Add yours