গ্রাহকদের কাছে সস্তায় নানা ধরনের ফোনের অপশন কম
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মরসুমেই ভারতে আসছে ৫জি (5G) পরিষেবা। যার গতি হবে এখনকার থেকে ১০ গুণ বেশি। স্পেকট্রাম বণ্টনের পরেই পরিষেবাপ্রদানকারী সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রথম ধাপে কলকাতা, আমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দিল্লি, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, হায়দরাবাদ, জামনগর, লখনউ, মুম্বই, পুণেতে মিলবে ৫জি পরিষেবা। ছড়িয়ে পড়বো দেশের নানা প্রান্তে। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আপনার ফোনটিও হতে হবে ৫জি। কিন্তু ভারতে মানুষের সাধ্যের মধ্যে ৫জি ফোনের নানান ধরনের ভ্যারিয়েশন পাওয়া মুশকিল, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ৫জি নেটওয়ার্ক রোল আউট করে গেলেও বাজারে বাজেট ফোনগুলো বেশিরভাগই থাকবে ৪জি। এখনও ভারতীয় বাজারে বেশ কিছুদিন নিজের আধিপত্য বজায় রাখবে ৪জি সাপোর্টেড ফোন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী দুই থেকে তিন বছরও ৪জি ফোনই থাকবে সাধারণের বাজেটের মধ্যে।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চান? ভুল করেও এই ৫টি কাজ কখনই করবেন না
সম্প্রতি রিলায়েন্স জানিয়েছে, চলতি বছর অক্টোবরেই ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু করবে রিলায়েন্স জিও (Jio 5G)। শোনা গিয়েছে, অক্টোবরেই ভারতী এয়ারটেলও ভারতে ৫জি (Airtel 5G) নেটওয়ার্কের রোল আউট শুরু করবে। জিও এবং এয়ারটেলের পাশাপাশি ভোডাফোন-আইডিয়াও ভারতে ৫জি পরিষেবা লঞ্চ করতে চায় বলে জানা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি সরকারি সংস্থা বিএসএনএল (BSNL) এবং আদানি (Adani) গ্রুপের ৫জি পরিষেবা লঞ্চের কথাও শোনা গিয়েছে। নোকিয়া সংস্থাও নাকি ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু করতে পারে। কিন্তু বিভিন্ন ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি কবে তাদের ৫জি মডেলের বাজেট সেজমেন্টে লঞ্চ করবে তা নিশ্চিত নয়। শুধু ৫জি ফোন বাজারে আনলে হবে না তার দামও থাকতে হবে আমজনতার সাধ্যের মধ্যে। তবেই সেই ফোন মার্কেটে চলতে পারবে, অভিমত বাণিজ্যিক মহলের।
আরও পড়ুন: 'গুগল মিট'-এ আসতে চলেছে নতুন ফিচার, মিটিং-এ মিউট আনমিউট করা হবে আরও সহজ!
৫জি সাপোর্ট করা যে কোনও ফোনের নূন্যতম দাম হতে পারে ১২ হাজার টাকা। ১৫ হাজার টাকা হলে তার ফিচার হবে মোটের উপর ভাল। ২০ হাজার টাকার উপরে উঠলে তবেই ৫জি ফোনে ভাল ফিচার দেওয়া সম্ভব বলে মানছেন ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। কিন্তু ১০ হাজারের নীচে ৫জি সাপোর্টেড ফোন দেওয়া এখনই সম্ভব নয় অভিমত বিশেজ্ঞদের।