মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পাঞ্জাব সহ পুরো দেশে। ওই ভিডিওগুলি নেটমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি, এর জেরে আট ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে দাবি করা হয়। এর ফলে গত শনিবার রাত থেকে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। যদিও পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় যে, একটি ভিডিওই ফাঁস হয়েছে এবং কোনও ছাত্রীই আত্মহত্যার চেষ্টা করেননি।
ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত বা নগ্ন ছবি বা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার মত অনেক ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। তবে কারোর ব্যক্তিগত ভিডিও ভাইরাল করা বিশ্বাসঘাতকতাই নয়, এটি একটি অপরাধও। তাই এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটলে আপনার কী করা উচিত, জানেন?
এমন পরিস্থিতিতে, সবার আগে ইন্টারনেট থেকে কীভাবে ভিডিও বা ছবি সরিয়ে ফেলা যায়, তার উপায় বের করতে হবে। এমন অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি যেকোনো সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা এমএমএস (MMS) বা ফটোগ্রাফ ডিলিট করতে পারেন।
আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস
পুলিশের সাথে যোগাযোগ করুন
প্রথমে নিকটবর্তী থানায় গিয়ে এবং সাইবার সেলের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা উচিত। আপনার অভিযোগের পর, পুলিশ ওয়েবসাইটের মালিক বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করবে৷ আপনার অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়েবসাইটের মালিকের কাছে অভিযোগ করুন
ভিডিও বা ছবি সরানোর আরেকটি উপায় হল সরাসরি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা। মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে যদি আপনার সমস্যা হয়, তবে www.whois.com নামক ওয়েবসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এর মাধ্যমে, আপনি সাইটের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং ভিডিওটি সরানোর জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।
গুগল সার্চ রেজাল্ট থেকে সরান
যদি সেই আপত্তিকর ছবি বা এমএমএস গুগল সার্চ রেজাল্টে থাকে, তাহলে আপনি এটিকে সরানোর জন্য টেক জায়ান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এর জন্য, আপনাকে গুগল-এর সাপোর্ট পেজে যেতে হবে (support.google.com) এবং সেখানে তালিকাভুক্ত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে।
+ There are no comments
Add yours