মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই পূর্ব লাদাখের গোগরা হটস্প্রিং পেট্রলিং এরিয়া ১৫ থেকে সেনা সরানোর কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। মঙ্গলবার সকালে দুই দেশের সেনা অফিসাররা অঞ্চল খতিয়ে দেখেন। অফিসিয়ালি সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হয় এদিন সকালেই। অন্যদিকে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরলেও, অরুণাচলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছে ভারত-চিন উত্তেজনা প্রশমিত রয়েছে। অরুণাচল তথা পূর্ব ভারতের সীমান্তগুলি সুরক্ষিত এবং এই অঞ্চলে যে কোনও বৈদেশিক আক্রমণ এবং অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা বলে দাবি করেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার (জিওসি ইন সি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানাপ্রতাপ কলিতা।
আরও পড়ুন: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা
প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশের সেনা ক্যাম্পের নামকরণ করা হল প্রয়াত সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের নামে। অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু (Kibithu) মিলিটারি ক্যাম্পের নাম করা হল দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াতের নামে (General Bipin Rawat)। বিপিন রাওয়াতকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাতেই ওই মিলিটারের ক্যাম্পের নামকরণ করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের পরই কথোপকথনের সময় রানাপ্রতাপ জানান, উন্নয়নের ক্ষেত্রে শান্তিশৃঙ্খলা প্রধান শর্ত। সেনা সে কাজে তৎপর। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নানান কাজ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। চিনের সেনার মোকাবিলায় ভারত যে প্রস্তুত তা-ও জানিয়ে দেন কলিতা।
এদিকে সাংহাই বৈঠকের আগেই গোগরা হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়ে চিন ভারতের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা প্রস্তুত করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে গোটা ব্যবস্থাটি খতিয়ে দেখতে দু’দিন ধরে লাদাখে ছিলেন। ২০২০ সালের ৫ মে পূর্ব লাদাখের প্যানগং লেক এলাকায় ভারত ও চিনের সেনা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর পর ওই এলাকায় প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই দুপক্ষই সেনা মোতায়েন বাড়াতে থাকে। তারপর থেকে সেখানকার উত্তেজনা প্রশমনে বারবার আলোচনা হয়েছে। অবশেষে বরফ গলল। প্রত্যাশামতো সেনা সরালো দুই দেশ। এখন দেখার পূর্ব সীমান্তে এর প্রভাব কতটা পড়ে। এমনিতেই দুই দেশের তরফে জানানো হয়েছে, শান্তি রক্ষার্থে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অন্য সীমান্তগুলি থেকেও সেনা সরিয়ে নেবে দুই দেশ।
+ There are no comments
Add yours