মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগলের ব্যক্তিগত ব্রাউজিং (Google Private Browsing) আদতেও ব্যক্তিগত নয়। ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে গুগল। এমনই অভিযোগ আনলেন টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন (Ken Paxton)। এই অভিযোগের গুগলের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি।
জানুয়ারিতে টেক্সাস (Texas), ইন্ডিয়ানা, ওয়াশিংটন, কলম্বিয়ায় গুগলের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। দাবি করা হয়েছিল, গুগল ব্যবহারকারীদের লোকেশন ট্র্যাক (Location Track) করছে। এতে তাদের ব্যক্তিগতে পরিসরে ঢুকে পড়তে চাইছে গুগল।
ইনকগনিটো মোড (Incognito Mode) বা ব্যক্তিগত ব্রাউজিং- এর ক্ষেত্রে গুগল দাবি করে যে তারা ব্যবহাকারীর কোনও তথ্য চাইবে না বা কোনও রকম নজরদারি চালাবে না। কেনের বক্তব্য কথার খেলাপ করছে গুগল। 'সার্চ হিস্ট্রি' এবং 'লোকেশন' দুই- এর তথ্যই নিজের কাছে রাখছে এই সংস্থা।
মামলাটিতে দাবি করা হয়, ব্যক্তিগত ব্রাউজিং সুবিধায় কেউ হয়তো কোনও গোপন ওয়েবসাইট খুঁজছেন বা তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত, রাজনীতি সংক্রান্ত কোন তথ্য খুঁজছেন বা কেউ কারও জন্যে উপহার কেনার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইছেন। গুগল গোপনীয়তা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা তারা করছে না। গোপনে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য নিজের কাছে রাখছে গুগল।
গুগল যদিও নিজের সাফাইয়ে বলেছে, "পুরোনো ঘটনা তুলে এই দাবি করা হচ্ছে। আমরা সেটিং- এ বদল এনেছি। ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য। আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে শেষ অবধি লড়াই করব।"
এর আগেও এই অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General) গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের অনুমতি না নিয়েই লোকেশন ট্র্যাক করার অভিযোগ এনেছিলেন।
গুগল দাবি করে, লোকেশন সেটিং অফ রাখলে ব্যবহারকারীর লোকেশন সম্পর্কে কিছু জানতে পারে না গুগল।
জানুয়ারিতে আরিজোনার বিচারক দাবি করেন, গুগলের একটি গোপন লোকেশন ট্র্যাকার আছে। ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই তাদের গতিবিধির ওপর নজর চালায় গুগল।
+ There are no comments
Add yours