Godhra: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাব, গোধরাকাণ্ডে বেকসুর খালাস পেলেন ৩৫ জন

"এই হিংসা স্বতঃস্ফূর্ত, পরিকল্পনামাফিক নয়"...
Godhra_f
Godhra_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই। তাই ২০০২ সালের গুজরাট (Godhra) হিংসায় বেকসুর খালাস পেলেন অভিযুক্ত ৩৫ জন। গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার হালোল শহরের এক নিম্ন আদালত তাঁদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ঘটনার ২১ বছর পর এবার গরাদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গুজরাট হিংসায় অভিযুক্ত ছিলেন ৫২ জন। তাঁদের মধ্যে বিচার চলাকালীন মারা যান ১৭ জন। বাকিরা পেলেন মুক্তির স্বাদ। আদালত এও বলেছে, “এই হিংসা স্বতঃস্ফূর্ত, পরিকল্পনামাফিক নয়।” নিম্ন আদালতের বিচারক হর্ষ ত্রিবেদীর পর্যবেক্ষণ, “ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষ কিছু গণমাধ্যম আর রাজনীতিবিদ যাঁরা এই হিংসার ঘটনাকে পরিকল্পনামাফিক বলেছিলেন, তাঁরা আসলে হিংসার ক্ষতে নুনের ছিটে দিয়েছেন।”

আদালতের বক্তব্য

গোধরা (Godhra)-উত্তর কালে খুন করা, প্ররোচনা দেওয়া ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে। চলছিল তদন্তও। তদন্তে বয়ান নেওয়া হয় ১৩০ জন সাক্ষীর। বিচারক হর্ষ ত্রিবেদী বলেন, “সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা বহু নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনও নিরপরাধ মানুষ যাতে সাজা ভোগ না করেন, তা দেখা আদালতের কাজ।”

তথ্য প্রমাণের অভাবেই মুক্তি

গোধরা-পরবর্তী হিংসায় হিংসা ছড়িয়েছিল কালোল বাস স্ট্যান্ড, দেলোল গ্রাম সহ মোট চারটি জায়গায় হিংসা ছড়ানো, অগ্নিসংযোগ করা এবং তিনজনকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ওই ৫২ জনের বিরুদ্ধে। ১৭ জন প্রয়াত হওয়ায় মামলা চলছে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ যে মামলা দায়ের করে, সেখানে বলা হয় তল্লাশি চালিয়ে ওই তিনজনের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনজনই নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ভুক্ত। যদিও আদালত জানিয়েছে, তথ্য প্রমাণের অভাবেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে ৩৫জনকে।

আরও পড়ুুন: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

ভারতে সাম্প্রদায়িক হিংসা যে নতুন নয়, ৩৬ পৃষ্ঠার রায়ে সে কথারও (Godhra) উল্লেখ করেছেন বিচারক। রায়ে বলা হয়েছে, “ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দীর্ঘকাল ধরে অব্যাহত রয়েছে এবং সাধারণত তুচ্ছ বিবাদ এবং অসহিষ্ণুতা, ধর্মীয় শিল্পকর্মের হেরফের, উৎসবে অন্যদের অনুপ্রবেশ, বিরোধপূর্ণ প্রার্থনার সময়, উপাসনালয় নিয়ে বিবাদ, আন্তঃবিবাহ, পবিত্র স্থানের অপবিত্রতা, যৌনতা ইত্যাদির কারণে ঘটে।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles