Gujarat: গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

গুজরাট হিংসার ঘটনায় ফের কংগ্রেসকে আক্রমণ...
Teesta
Teesta

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার গুজরাটের (Gujarat) সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad)। রবিবারই তাঁকে আমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেয় গুজরাট পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (Anti Terrorist Squad )। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু হয়েছে। মুম্বইয়ের জুহু থেকে প্রথমে তাঁকে আটক করে গুজরাটের অপরাধ দমন শাখা (ATS)।  নিয়ে যাওয়া হয় সান্তাক্রুজ থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর আমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গুজরাট হিংসা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের। তিস্তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। কেবল তিস্তা নন, ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গুজরাটের প্রাক্তন ডিজিপি আরবি শ্রীকুমারকেও। 

আরও পড়ুন : গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা রেল স্টেশনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ৫৮ জন পুণ্যার্থীকে। তার পরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। মারা যান হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। মোদিকে কালিমালিপ্ত করতে আসরে নেমে পড়ে বিরোধীরা। মামলা গড়ায় আদালতে। তদন্তের জন্য তৈরি হয় সিট (SIT)। ২০০২ এর ওই হিংসায় মোদিকে পুরোপুরি ক্লিনচিট দেয় বিশেষ তদন্তকারী দল। ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। 
এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, মোদিজীকে দীর্ঘদিন এই নিয়ে যন্ত্রণা সহ্য করতে দেখেছি। আজ তিনি সূর্যের মতোই কলঙ্কমুক্ত। সেদিন গুজরাট সরকার হিংসা রুখতে সচেষ্ট ছিল। মুখ্যমন্ত্রী বারবার শান্তির আবেদন করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদি সর্বদা আইনের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার চলছিল।  একশ্রেণীর সংবাদকর্মীও আর এনজিও এই কাজ করেছে। তিস্তা শেতলবাদের এনজিও এর পিছনে ছিল। অমিত শাহের দাবি, গোধরার পরে যে হিংসা হয়,তা মোকাবিলায় সেনা নামাতে দেরি করেনি গুজরাট সরকার। আদালতের রায় কংগ্রেসের অপপ্রচারের জবাব বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, যারা অভিযোগ করেছিল, তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে। 

আরও পড়ুন : 'শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি', গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ
দেশের শীর্ষ আদালত প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দেওয়ার পরেই আটক করা হয় তিস্তাকে। পরে করা হয় গ্রেফতার। তাঁর এনজিও সংক্রান্ত একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে প্রথমে আটক করা হয় বলে সূত্রের খবর। তিস্তার দাবি, অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।  
আমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে দায়ের করা এফআইআরে তিস্তার পাশাপাশি নাম রয়েছে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাটেরও। 
এদিকে, গুজরাট হিংসার ঘটনায় এদিন ফের একবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করল কেন্দ্রের শাসক দল। বিজেপির দাবি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিস্তা শেতলাবাদ যে ভুয়ো অভিযোগ করেছেন,তার নেপথ্যে ছিল কংগ্রেসই। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles