Presidential Elections: “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত?

পাওয়ার, আবদুল্লা এবং গান্ধী না করে দিতেই শিলমোহর পড়ে যশবন্তের নামে...
droupadi
droupadi

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা। তবে তাঁর সঙ্গে দ্রৌপদীর লড়াই হবে আদর্শের। এমনই জানিয়ে দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা বিজেপি-বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। বিরোধীদের ভোটের পাশাপাশি বিজেপির কিছু ভোটও পাবেন বলে আশাবাদী এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! 'ঘরের মেয়ে' কে সমর্থন নবীনের

১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী প্রাক্তন রাজ্যপাল বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যাতে সর্বসম্মত হয়, সেজন্য চেষ্টার কম কসুর করেননি পদ্ম নেতৃত্ব। বিজেপির তরফে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজনাথ সিংকে। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যর্থ হন তিনি। বিজেপি বিরোধী ১৭টি দল সর্বসম্মতভাবে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যে তিনটি নাম নিয়ে বিরোধীরা প্রথমে এগিয়েছিলেন, সেই এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা ও কংগ্রেসের গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী সাফ জানিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে তাঁরা নেই। এর পরেই বেছে নেওয়া হয় বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহাকে। তৃণমূলের এই ভাইস প্রেসিডেন্টকেই প্রার্থী করেন বিরোধীরা।

রাজনৈতিক মহলের হিসেব বলছে, রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীই। এনডিএর পাশাপাশি বিজেডি এবং নীতীশ কুমারের দলের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। এতদসত্ত্বেও আশা ছাড়তে রাজি নন যশবন্ত স্বয়ং। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, যাঁরা বিজেপি রয়েছেন, তাঁদের ভোটও পাব। আমি জানি, বিজেপির লোকও বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ। গোপন ব্যালটে ভোট হবে। তাই বিষয়টি গোপনই থাকবে।

আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

বস্তুত, এই হিসেব কষেছে তৃণমূলও। যশবন্ত যেহেতু বিজেপির প্রাক্তনী, তাই তিনি কিছু ভোট ভাঙাতে পারবেন। অন্তত এমনই ভেবেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পাওয়ার, আবদুল্লা এবং গান্ধী না করে দিতেই যশবন্তের নামে পড়ে শিলমোহর।

কোন ইস্যুতে ভোট চাইবেন? সংবাদ মাধ্যমের এহেন প্রশ্নের জবাবে যশবন্ত বলেন, ভারতের সংবিধান রক্ষা করাই আমার সব চেয়ে বড় কাজ। যদি রাষ্ট্রপতি ভবনে যাই, তাহলে এই কাজই করব।এই সরকার সংবিধান ও সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে মানছে না। রাষ্ট্রপতি ভবনে যদি রাবার স্ট্যাম্প থাকে, তাহলে এই সরকার তার সুযোগ নেবে এবং রাষ্ট্রপতিকে তাঁর কর্তব্য পালন করতে দেবে না।

যশবন্তের রাইসিনা হিলসে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় কিনা, সেটাই দেখার।

      

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles