কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকছে ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত।
ছবি প্রতীকী।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ার খাম খেয়ালিপনা এবং কোভিড পরবর্তী সময়ে শিশুদের ইমিউনিটি কমে যাওয়ার ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়ছে শিশুদের। শহর জুড়ে দেখা দিয়েছে নতুন এক ভাইরাসের দাপট। যার নাম অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus)। শিশুদের উপর এরা বেশি প্রভাব বিস্তার করছে। সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ, প্রাথমিক ভাবে এমনই লক্ষ্মণ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে ভুল করে ফেলছেন চিকিৎসক থেকে রোগীর পরিবার। সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। শিশু হাসপাতালে আইসিইউয়ে সঙ্কট দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। আইসিইউয়ে বেডের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে উপচে পড়ছে জেনারেল বেড। কলকাতা মেডিক্যালে দেড় মাসে এই ভাইরাসের সংক্রমণে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে।
আচমকাই শহরে বেড়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ। এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় তাঁরা বাড়তি সরঞ্জাম আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আইসিইউ বেড যাতে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে ভেন্টিলেটরি সাপোর্টও একাধিক জায়গায় প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন গত দেড় মাসে শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর বেড়েছে। তা থেকে হচ্ছে ফুসফুসের সংক্রমণ। এক থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের ভর্তি করতে হচ্ছে আইসিইউতে।
আরও পড়ুন: পুষ্টিবিদরা দৈনন্দিন ডায়েটে স্ট্রবেরি রাখতে বলছেন, এর ৭টি পুষ্টিগুণ জানুন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের জন্য দুবছর শিশুরা বাড়িতেই ছিল। ফলে এই বয়সে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার কথা তা হয়নি। একইসঙ্গে পারদের ওঠানামা লেগেই রয়েছে। পিসিআর (polymerase chain reaction) টেস্ট করে অ্যাডিনোভাইরাস চিহ্নিত করা গেলেও এই ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমলেই থাবা বসাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণ ফ্লু-এর মতোই জ্বর, হাঁচি, সর্দি-কাশি, চোখ জ্বালা, ডাইরিয়া, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে রোগীর। কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকছে ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।