অপারেশন করতেও এআই প্রযুক্তি, কী সুবিধা জানেন?...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীর বয়স ৬২। ফুসফুসে রক্ত জমে গিয়েছে। রক্ত জমাট বেঁধেছে পায়ের শিরায়ও। এই অবস্থায় রোগীকে নিয়ে এসে ভর্তি করা হল হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালে। রোগীর অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা। তবে অভয় দিলেন চিকিৎসকরা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (AI Technology) ব্যবহার করে শরীর থেকে বের করলেন জমাট বাঁধা রক্ত। নয়া জীবন পেলেন রোগী। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন মরণাপন্ন রোগীর আত্মীয়রা। মেদান্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দেশের মধ্যে প্রথম এই হাসপাতালেই এআই টেকনোলজি (AI Technology) কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা করা হল কোনও রোগীর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এআই-চালিত ডিভাইস পেনুম্ব্রা ফ্ল্যাশ ১২ এফ ক্যাথিটার ব্যবহার করা হয়েছিল রোগীর শরীর থেকে জমাট বাঁধা রক্ত বের করতে।
২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত মেদান্ত হাসপাতালে পালমোনারি এমবলিজমের ২৫টি অপারেশন হয়েছে। এই রোগে রোগীর ফুসফুসে জমাট বেঁধে যায় রক্ত। চিকিৎসকদের মতে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রক্ত কম নষ্ট হয়, অ্যানিমিয়ার মতো জটিলতাও দেখা দেয় না। রোগীও সুস্থ হয়ে ওঠেন তাড়াতাড়ি। মেদান্ত হাসপাতালের চেয়ারম্যান তথা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নরেশ ত্রেহান বলেন, “বুক ও আর্টারি খোলার চেয়ে জমাট বাঁধা রক্ত সাক করে নেওয়া ভালো। এআই আসপেক্টের সাহায্যে জমাট বাঁধা রক্ত সাক করে নিতে পারেন, রক্ত বের না করেই। অতীতে আমাদের যেসব বড়সড় অপারেশন করতে হয়েছে, সেখানে ঝুঁকিও ছিল অনেক বেশি। এখন সেটা অনেক কমেছে।”
আরও পড়ুুন: জঙ্গি বিনাশে ভূস্বর্গে চলবে অপারেশন সর্বশক্তি, কীভাবে লড়বে সেনা?
চিকিৎসক তরুণ গ্রোভার বলেন, “পেনুম্ব্রা ফ্ল্যাশ ১২ এফ ক্যাথিটার ব্যবহার করে এক বিমান চালকের জমাট বাঁধা রক্ত বের করা হয়েছে শরীর থেকে। অপারেশনের পর পরই রোগীর যন্ত্রণা কমে যায়, কমতে থাকে ফোলা ভাবও।” তিনি বলেন, “আগে অপারেশন করতে হলে রোগীকে পুরোপুরি অ্যানাস্থেশিয়া করতে হত। এই পদ্ধতিতে আর তা করতে হয় না। লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করতে হয়। রোগী নিজেই চাক্ষুষ করতে পারেন পুরো অপারেশন প্রক্রিয়াটা।” এআই (AI Technology) ব্যবহার করে কলঙ্কিত করা হয়েছে খ্যাতনামাদের। এআইয়ের কারণেই চাকরি গিয়েছে বহু মানুষের। সেই এআই ব্যবহার করেই নবজীবন দেওয়া হচ্ছে মরণাপন্ন রোগীদের।
একই অঙ্গে দুই রূপ এআইয়েরও!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।