AIIMS Delhi: মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দিল্লি হাসপাতালে পরিকাঠামো তৈরি, কী গাইডলাইন দিল দিল্লি এইমস?
মাঙ্কি পক্স (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্সের (Monkey Pox) উপসর্গ নিয়ে রোগীর খোঁজ মিললে, সেক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন, মঙ্গলবার তার নির্দেশিকা প্রকাশ করল দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস (AIIMS Delhi)। যদিও ভারতে এখনও কোনও এই ধরনের আক্রান্তের খবর নেই। জানা গিয়েছে, আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এইমস (AIIMS) ডাক্তাররা জানাচ্ছেন যে, মাঙ্কিপক্স একটি ‘ভাইরাল জুনোসিস’, যার লক্ষণগুলি গুটিবসন্তের মতো, যদিও কম গুরুতর। মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এই রোগ যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তা রোধ করার জন্য উচ্চতর সচেতনতা, দ্রুত সনাক্তকরণ এবং কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে ‘হু’।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির
হু (WHO)-এর জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণাকে মান্যতা দিয়ে সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লি এইমস (AIIMS)। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা রূপরেখা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের কার্যপ্রণালিতে। প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ফোলা লিম্ফ নোড, ঠান্ডা লাগা, ক্লান্তি এবং ত্বকের ক্ষত। সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের জন্য পাঁচটি শয্যা মনোনীত করা হয়েছে।
এইমসের জারি হওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যতক্ষণ না সন্দেহজনক এমপক্স আক্রান্তদের জন্য মনোনীত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এইমসে চিকিৎসা করা হবে। উপসর্গ থাকা রোগীদের আইসোলেশনে রাখা হবে। অন্যান্য রোগী এবং কর্মীদের সঙ্গে যথাসাধ্য যোগাযোগ কম করে তা নিশ্চিত করতে হবে। কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং সঠিক ডকুমেন্টেশন পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে বজায় রাখতে হবে। পরবর্তীকালে, সন্দেহজনক রোগীদের সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হবে। সেখানে আক্রান্তদের চিকিৎসা করার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
সফদরজং হাসপাতালের মাঙ্কিপক্সের নোডাল অফিসার ডাঃ সুশ্রুত কাঠুরিয়া বলেন, সমস্তরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন জরুরি ব্লকে একটি ঘর এই ধরনের রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে। সুপারস্পেশালিটি ব্লকে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। আরএমএল হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ অজয় শুক্লা বলেন, একটি ১০-শয্যার ওয়ার্ড মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। আর হাসপাতালের মেডিসিন এবং চর্মরোগ বিভাগের দুজন নোডাল অফিসার পরিস্থিতির তদারকি করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।