Big danger: যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিকের জেরে শরীরে সুপারবাগস-এর বিপদ তৈরি হচ্ছে না তো? কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নয়া নির্দেশিকা?
ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে পরবর্তী জীবনে জটিলতা আরও বাড়বে? প্রতীকী চিত্র
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
ঋতু পরিবর্তনের সময় সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি হোক কিংবা পেটের অসুখ, যে কোনও সমস্যাতেই অনেকে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খান। একটা অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করলেই সব সমস্যা মিটে যাবে, অনেকের ধারণা এটাই। তাই অনেক সময়েই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ইচ্ছে মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া চলতেই থাকে। আবার অনেকে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খান। আর এর জেরেই বাড়ছে বিপদ। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ফলে, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এখন থেকেই সতর্ক না হলে পরে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার। তার ফলেই বাড়ছে বিপদ। শিশু বয়স থেকেই যে কোনও সামান্য অসুখে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার জেরে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শরীর ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া করছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খাওয়ার জেরে শরীরের ভিতরে থাকা জীবাণু ওষুধের বিরুদ্ধে শক্তিশালী থাকার কৌশল জেনে যাচ্ছে। এর ফলে বড় কোনও অসুখ হলে ওই ওষুধ আর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারছে না। অ্যান্টিবায়োটিকের (Antibiotics) বিরুদ্ধে যেসব জীবাণু শক্তি বাড়াচ্ছে, তাদের বিশেষজ্ঞেরা 'সুপারবাগস' বলেই চিহ্নিত করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর ফলে বিভিন্ন জটিল অসুখে শারীরিক অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। বিশেষত যে কোনও অস্ত্রোপচারের পরে শরীরে ইনফেকশন আটকানো আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস শরীরে প্রবল শক্তিশালী হয়ে থাবা বসাচ্ছে।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ বয়স্কদের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে এই সুপারবাগস (superbugs)। বয়স বাড়লে নানান অসুখে শরীর কাবু হচ্ছে। কিন্তু কোনও ওষুধ শরীরে ঠিকমতো কাজ করছে না। শারীরিক পরীক্ষা করে ধরা পড়ছে অধিকাংশ ওষুধের বিরুদ্ধে শরীরে জীবাণুর রেজিস্ট্যান্স শক্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়ছে। আবার হাসপাতালে বারবার ভর্তি থাকতে হলেও পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। শরীরের ভিতরের একাধিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠছে। ফলে নানান জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতা এবং সতর্কতাকেই হাতিয়ার করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যায় না, এ নিয়ে আরও সচেতনতা জরুরি। কারণ, অনেকেই এ ব্যাপারে একেবারেই সতর্ক নয়। বিশেষত শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতনতা জরুরি। সামান্য সর্দি-কাশি কিংবা সাধারণ ভাইরাসঘটিত অসুখে একেবারেই যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। কারণ খুব ছোট থেকেই এভাবে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে পরবর্তী জীবনে জটিলতা (Big danger) আরও বাড়বে। তাই সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খাওয়া দরকার। তবেই এই বিপদ আটকানো সম্ভব হবে।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।