আজকে আমরা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের কিছু স্বাস্থ্য সম্মত ডায়েটের বিষয়ে আলোচনা করব
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুর্বেদ (Ayurvedic Diet) অনুযায়ী পৃথিবীর দুজন মানুষ কখনও সমান নয় এবং তাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদাও আলাদা আলাদা রকমের হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে (Ayurvedic Diet) তাই ডায়েটকে ঠিক করা হয় প্রত্যেকটা মানুষের শারীরবৃত্তীয় এবং তার মানসিক গঠন অনুসারে। তিন রকমের দোষের কথা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লেখিত রয়েছে এগুলো হল, বাত, পিত্ত এবং কফ।
১) প্রক্রিয়াকরণ করা হয়নি যে খাবার, তা শরীরের জন্য খুব উপকারী
আয়ুর্বেদিক ডায়েটে (Ayurvedic Diet) জোর দেওয়া হয়েছে প্রাণ শব্দের উপর। প্রাণ হল সূর্য, জল এবং পৃথিবীর শক্তি। এমন একটি আয়ুর্বেদিক সুপারফুড হল বাদাম। আয়ুর্বেদে বাদাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় বাদাম ডায়েটে ব্যবহার করা হত। জানা যাচ্ছে, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে (Ayurvedic Diet) স্থূলতা, প্রিডায়াবেটিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস ইত্যাদি রোগের ডায়েট হিসেবে বাদাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক দুর্বলতার চিকিৎসার জন্য বাদাম খাওয়া যেতে পারে, মনে করেন, আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা।
২) রাতের খাবার যৎসামান্য খান এবং দিনের খাবার পেট ভরে খান
আয়ুর্বেদ (Ayurvedic Diet) চিকিৎসকরা মনে করেন, সূর্য যখন মধ্য গগনে থাকে তখন মানুষের হজম ক্ষমতাও বেশি হয়। তাই আয়ুর্বেদ অনুসারে দুপুরে পেট ভরে আহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং রাত্রে সব থেকে কম। রাত ১০টার আগে খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত বলেই মনে করেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা।
৩) ৭০ এবং ৩০ এর নিয়ম মানুন ডায়েটের (Ayurvedic Diet) ক্ষেত্রে
এখানেও গণিতের সূত্র কাজ করে, তবে অতটা জটিল নয় এই সূত্র। আয়ুর্বেদে (Ayurvedic Diet) বলা হয়, যখনই খাবার খাবেন তখন ৭০ শতাংশ পেটকে ভর্তি করবেন বাকি ৩০ শতাংশ খালি রাখবেন।
DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: