কমে যেতে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের(Coronavirus) আতঙ্ক এখনও পুরোপুরিভাবে কেটে উঠতে পারেনি বিশ্বব্যাপী মানুষ। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় করোনা রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতদিনে করোনার বিভিন্ন প্রজাতি (covid variant) আসার সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের লক্ষণেও অনেক পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে কোভিড (Covid-19) হলে সাধারণ উপসর্গ ছিল সর্দি-কাশি, জ্বর, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া ইত্যাদি। তবে এবার গবেষকরা করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গের (New Coronavirus Symptoms) সন্ধান পেয়েছে। বিজ্ঞানী-গবেষকরা কোভিড নিয়ে গবেষণা করেই এই নতুন উপসর্গের উল্লেখ করেছেন। শরীরে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা এগুলোই হল কোভিডের নতুন লক্ষণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত ৩জনের মধ্যে একজনের গায়ে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংসস্থার(World Health Organization) একটি রিপোর্টে বিশ্লেষণ করে দেখা হয় যে, প্রায় ৫৬০০০ জন কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ শতাংশ রোগীদের গায়ে, পেশীতে ব্যথা আছে।
শরীরের কোথায় ব্যথা হতে পারে?
শরীরের সাধারণত কাঁধে, কোমরে ও পায়ে ব্যথা দেখা গিয়েছে। তবে এইসব উপসর্গের সঙ্গে মাথাব্যথা, ক্লান্তিভাবও পরিলক্ষিত হয়েছে।
ব্যথার ফলে কীভাবে বুঝবেন যে আপনি কোভিডে আক্রান্ত কিনা?
কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের দেহে, পেশীতে ব্যথা তো থাকবেই, এর সঙ্গে পেশী সঞ্চালন করলেও এই ব্যথা অনুভব করতে পারেন। অথবা পেশীকে ছুঁলেও ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী
কতদিন কোভিডের এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে?
গবেষণায় বলা হয়েছে, এটি করোনার প্রাথমিক উপসর্গ ও এটি ২-৫ দিন থাকতে পারে। তবে ৩৫ বছরের ঊর্ধবয়সীদের ৭-৮ দিন এই ব্যথা থাকতে পারে।
গায়ে ব্যথা কীভাবে আপনার শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে?
কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের গায়ে ব্যথা হলে দেহে স্ফীতাভাব দেখা যেতে পারে, সঙ্গে শরীরের ইমিউনিটিও কমে যেতে পারে। তাছাড়াও ব্যথার সঙ্গে জ্বর, ক্লান্তিভাব দেখা যেতে পারে ও আপনার হাঁটাচলাতেও অসুবিধা হতে পারে। আবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই ব্যথা থাকলে আপনার পেশীর কোষগুলিও নষ্ট হয়ে যাোয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর প্রতিকার কীভাবে করবেন?
যদি আপনার শরীরে কোনও ব্যথা অনুভব হয়, তবে এটি করোনার লক্ষণ হতে পারে। তাই আপনাকে টেস্ট করে নেওয়া উচিত ও আইসোলেশনেও থাকা উচিত। ব্যথার জন্য সঙ্গে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন ও খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ