Change of season: ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে! ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কায় চিকিৎসক মহল
বিভিন্ন বয়সের মানুষ গলার নানান সংক্রমণের শিকার। প্রতীকী চিত্র।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
আট থেকে আশি, সর্দি-কাশির (Cough and cold) দাপটে নাজেহাল বঙ্গবাসী! কদিন আগেই সকলে দীপাবলির উৎসবে মেতেছিলেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঠিক তার পরেই কাশির দাপটে নাজেহাল অনেকেই। সঙ্গে নাক দিয়ে জল ঝরা, সর্দি ইত্যাদি। বিভিন্ন বয়সের মানুষ বেশি করে গলার নানান সংক্রমণের শিকার। অ্যালার্জির সমস্যাও বেড়েছে। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ফুসফুসের একাধিক সমস্যা। বক্ষঃরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহে নানান সংক্রমণে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। তার মধ্যে বয়স্ক এবং শিশুদের সংখ্যা বেশি। তার মধ্যে আবার হাঁপানি রোগীদের সমস্যা বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বাতাসে বেড়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইডের মতো একাধিক বিষাক্ত উপাদান। বিশেষত কলকাতা, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি, নদিয়া জেলায় বাতাস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে এই দূষিত উপাদানের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর জেরেই ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাশি (Cough and cold) আসলে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি থেকে হচ্ছে। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে ইনফেকশন কিংবা ফুসফুসের সংক্রমণের জেরেই উপসর্গ হিসেবে কাশি দেখা যাচ্ছে। আর এই দূষিত উপাদান হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বাজিকেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কালীপুজোর আগের রাত থেকেই শহর থেকে জেলা-সর্বত্র বাজির দাপট দেখা গিয়েছে। আকাশ জুড়ে আতসবাজির ধোঁয়া দেখা গিয়েছে। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল রাতের আকাশ। আর ওই বিষাক্ত ধোঁয়ার জেরেই বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইডের পরিমাণ হঠাৎ করেই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কমে গিয়েছে অক্সিজেন! ফলে হাঁপানি বা অ্যাজমা আক্রান্তদের ভোগান্তি বেড়েছে। ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্তদেরও বিপদ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে প্রয়োজনের তুলনায় সবুজায়ন যথেষ্ট নয়। বিশেষত কলকাতার মতো বড় শহরে গাছের সংখ্যা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। তার উপরে এই চরম অসচেতনতা বিপত্তি বাড়াচ্ছে।
চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, বিপদ (Cough and cold) আরও বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়। একদিকে ঋতু পরিবর্তনের জেরে বাতাসে ভাইরাসের দাপট বাড়ে। তাই এই সময়ে ভাইরাস ঘটিত অসুখে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ে। আবার বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ এই সময়ে বাড়ে। তাই ফুসফুস ঘটিত নানান সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বায়ুদূষণ। যার জেরে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ভোগান্তি বাড়বে। তাঁদের আশঙ্কা, আরও বেশি সংখ্যক শিশু হাঁপানিতে আক্রান্ত হতে পারে। পাশপাশি ফুসফুসের কার্যকারিতা কমতে পারে। ফলে প্রবীণ নাগরিকদের আরও ভোগান্তি বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকদের একাংশ (Change of season)।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।