Children’s Memory: সন্তানের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে কোন ঘরোয়া পদ্ধতি?
প্রতীকী ছবি।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
সময় মতো নিয়মিত পড়তে বসে। দিনের অনেকটা সময় পড়াশোনায় বরাদ্দ থাকে। তারপরেও পরীক্ষায় বসে অনেক সময়েই ভুল হয়ে যায়। বারবার চর্চার পরেও মনে থাকে না অনেক বিষয়। অনেকের সন্তান এই সমস্যায় ভুগছে। আর তার জেরে দুশ্চিন্তা বাড়ছে বাবা-মায়ের। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কয়েকটা বিষয়ে অভিভাবকেরা নজরে রাখলেই সন্তানের এই সমস্যা কমবে। মনঃসংযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর (Child Education) কিছু সহজ কৌশল প্রথম থেকেই রপ্ত করা জরুরি। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাহলেই সন্তান একাধিক কাজ সহজে করতে পারবে। কিন্তু কোন দিকে বাড়তি নজর বাড়াবে স্মৃতিশক্তি ও মনঃসংযোগ?
আধুনিক জীবনে বাড়ছে ব্যস্ততা। আর তার জেরেই কমছে ঘুমের সময়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘুম পর্যাপ্ত না হওয়ার জেরে বাড়ছে সমস্যা। বিশেষত মনঃসংযোগ আর স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঘুম পর্যাপ্ত না হলে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। আর তার জেরে মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে। ক্লান্তিবোধ বাড়ে। ফলে মনঃসংযোগ করতেও অসুবিধা হয়। তাই রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অনেক পড়ুয়াকেই খুব ভোরে স্কুলে যেতে হয়। কিন্তু তারাও গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকে। ফলে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। যার জেরে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। তাই রাত বেশি জাগা যাবে না বলেই সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্মৃতিশক্তি (Child Education) বাড়াতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। তাই সন্তানের খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, চিনি বা চিনিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যান্ডি, চকলেট, চিনি খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে। নিয়মিত বাদাম, আখরোট জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত বাদাম জাতীয় খাবারের পাশাপাশি সবুজ ও রঙিন সবজি খেতে হবে। যেমন, কুমড়ো, গাজর, টমেটো, পালং শাক, পটল জাতীয় সবজি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এর পাশপাশি, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন লেবু, কিউই নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই মনঃসংযোগ বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।
নিয়মিত দিনের কিছুটা সময় সন্তানকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত করতে হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস বিশেষত মেডিটেশন মনোসংযোগ বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে সন্তানের শরীর ও মনের একাধিক সমস্যা কমবে। মনঃসংযোগ বাড়বে। মনে রাখার ক্ষমতাও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
পরিবারের সকলের জন্য সপ্তাহে একদিন রান্না করা কিংবা গান শেখা, ছবি আঁকা, যে কোনও এক ধরনের সৃজনশীল কাজ করার অভ্যাস থাকা জরুরি বলেই মনে করছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও কাজে একঘেয়েমি হলেই তার প্রতি আকর্ষণ কমতে থাকে। দিনরাত লাগাতার শুধু পড়াশোনার চাপ তৈরি হলে, পড়ুয়াদের সেই একঘেয়েমি লাগবে। তখন মনঃসংযোগ নষ্ট হবে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমবে। তাই পড়াশোনার (Child Education) পাশাপাশি অন্য কোনও সৃজনশীল কাজ করা জরুরি। অন্তত সপ্তাহে একদিন ভিন্ন রকম কাজ করলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়বে। মানসিক চাপ তৈরি হবে না। এমনটাই জানাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।