ভারতে এই ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম ধরা পড়ে, এর মাধ্যমে সংক্রমণ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০-২০২১ এ ভয়ঙ্কর কোভিডের প্রকোপে ভারতবর্ষ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল। চারদিকে শুধু কোভিড আক্রান্তদের খবর। অনাহারে মানুষের দুঃসহ অবস্থার খবর ছাড়া তখন যেন আর কিছুই ছিল না। মানুষ মুখে তুলে নিয়েছিল মাস্ক। কিন্তু তারপর থেকে অর্থাৎ ২০২১ এর শেষদিক থেকে আস্তে আস্তে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করে। কিন্তু তারপরেও যে তা একেবারে কমে গেছে, তা নয়। থেকে গেছে এই মারণ ভাইরাসের চিহ্ন। নতুন খবর হল, অনেক নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Covid New Variant) ধরা পড়ছে, যেগুলো অত্যন্ত মারাত্মক না হলেও মানুষের বেশ কিছুটা ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে।
আজ ২০২৩ এ দাঁড়িয়ে কোভিড কি একেবারে কমে গেছে? উত্তর হল "না"। অর্থাৎ আজও আমরা কোভিডমুক্ত নই। ভারতবর্ষের ধরা পড়েছে কোভিডের নতুন রূপ, (Covid New Variant) যার নাম আর্কটুরাস (Arcturus)। হাসপাতালগুলিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং অনেক রাজ্যে আবার মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে এটা ভারতের জন্য অনেকটাই চিন্তার বিষয়। বর্তমানে ভারতে ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আর্কটুরাস বা XBB.1.16।
এটি Omicron-এর একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এখনও পর্যন্ত সবথেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভ্যারিয়েন্ট (Covid New Variant)। এটি Omicron এর ৬০০ টিরও বেশি উপ-ভ্যারিয়েন্টের একটি অংশ, যা অনেকটাই মারাত্মক। ভারতে এই ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম ধরা পড়ে। এই প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমণ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেরলে এই XBB.1.16 তে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি বলে জানা গেছে। যা আস্তে আস্তে সমগ্র ভারতবর্ষে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
WHO এর রিপোর্ট অনুযায়ী বেশিরভাগ শিশুর মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের (Covid New Variant) প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এর লক্ষণ শিশুদের মধ্যে যা দেখা গেছে, তা আগে অন্য কোনও ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে দেখা যায়নি। উচ্চ মাত্রায় জ্বর, চোখ চুলকানি, চোখ গোলাপি হওয়া এবং কাশির লক্ষণ রয়েছে এই আর্কটুরাস ভ্যারিয়েন্টে। শুধু তাই নয়, কনজাংটিভাইটিস এত পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে যে চোখের বিশেষ করে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, সর্দি, কাশি, শরীরে অস্বস্তি এবং ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গ থাকে। শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হচ্ছে। ফলে শ্বাসকষ্টও দেখা যাচ্ছে।
যদি প্রথমে কোনও সন্দেহ হয়, তাহলে সর্বপ্রথম নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে ফেলতে হবে। তারপর সাধারণ করোনার (Covid New Variant) চিকিৎসার মতোই চিকিৎসা শুরু করতে হবে চটজলদি। কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিতে হবে। মুখে মাস্ক ব্যবহার শুরু করতে হবে। বাড়ির বাকি সদস্যকেও মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে। যেহেতু সাধারণ ফ্লু-এর মতোই এর লক্ষণ, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চিকিৎসা শুরু করা দরকার। এছাড়া পাবলিক প্লেসে যাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। ঘন ঘন হাত ধোয়া, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।