Corona Virus in India: রাজ্যগুলিকে ‘জিন সিকোয়েন্স’ পরীক্ষার বার্তা! নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট এরিস কি ভয়ঙ্কর?
কোভিড-১৯ এর নয়া রূপ নিয়ে চিন্তা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস (Covid 19)। সম্প্রতি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপের কারণে প্রস্তুতি পর্ব সারতে এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে বসলেন৷ উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। ইংল্যান্ড জুড়ে শুরু হওয়া করোনার নতুন রূপ (ভ্যারিয়ান্ট) ইজি ৫.১ অথবা এরিসের বাড়াবাড়িতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র।
কোভিডের (Covid 19) নতুন ভ্যারিয়্যান্ট আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়৷ এই মিটিংয়ে ছিলেন, নীতি আয়োগের সদস্য বিনোদ পাল, ছিলেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শদাতা অমিত খারে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব, শ্রী সুধাংশু পন্থ-সহ অনেকেই৷ একাধিক ভ্যারিয়্যান্ট বা প্রজাতির কোভিড সংক্রমণ নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেন স্বাস্থ্য সচিব৷ দেশে কোভিড আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্স করার সংখ্যা বাড়াতে সক্রিয় হতে চলেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, জোর দেওয়া হচ্ছে, পরীক্ষার সামগ্রিক সংখ্যা বাড়ানোতেও।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে এরিস রূপটিকে চিহ্নিত করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে ইংল্যান্ডে করোনার (Covid 19) এই নয়া রূপে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ইংল্যান্ডে ১০ জন করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেল এক জনের শরীরে এরিস রূপ মিলছে। কোভিডের উপসর্গের সঙ্গে এই নতুন ভ্যারিয়্যান্টের কিছুটা পার্থক্য আছে। গবেষণা মতে, স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশন বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পরিবর্তিত এই বিশেষ স্ট্রেইন কিছু নতুন উপসর্গ যুক্ত। তবে খুব একটা আলাদা নয়। সর্দি, হাঁচি-কাশি, হালকা জ্বর এবং মাথা ঘোরা হল করোনার নয়া রূপে আক্রান্তদের সাধারণ উপসর্গ। এর সংক্রমণের হার বেশি হলেও কোভিড-১৯ এর মত এটি ভয়াবহ নয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় বংশোদ্ভূত রামস্বামী?
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুসারে পৃথিবীর ৫০টি দেশে এই এরিস প্রজাতি ভ্যারিয়্যান্ট ছড়িয়ে পড়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২১৯টি কোভিড (Covid 19) আক্রান্তের খবর মিলেছে শেষ সাত দিনে৷ এর মধ্যে ভারতে এই নতুন প্রজাতির সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে মোটে ২২৩ জন, মোট আক্রান্তের ০.০৭৫ শতাংশ৷ দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে ৫০-এর নীচে৷ পজিটিভিটি রেট ০.২ শতাংশ৷ পাশাপাশি করা হচ্ছে জিনোম সিকোয়েন্সিংও৷ তিনি বলেছেন, সারা দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু যে কোনও জরুরিকালীন পরিস্থিতিতেই সারা দেশের স্বাস্থ্য পরিষো দিতে তৈরি আছে প্রশাসন৷ বিশেষজ্ঞরা এ-ও জানাচ্ছেন, এই প্রেক্ষিতে ‘বুস্টার শট’ নেওয়া খুব জরুরি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।