খামখেয়ালি আবহাওয়ায় জেরবার বঙ্গবাসী! কোন কোন খাবারে কমবে ঝুঁকি?
প্রতীকী ছবি।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
শীত ছুটি নিয়েছে। গরমের আমেজ ইতিমধ্যেই হাজির। কিন্তু তার মধ্যেই রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি। তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে খামখেয়ালি আবহাওয়ায় জেরবার বঙ্গবাসী। আর আবহাওয়ার এই যখন-তখন পরিবর্তনের জেরে সবচেয়ে গভীর প্রভাব পড়ছে শরীরে। সর্দি-কাশি আর জ্বরে কাবু সকলেই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু আর বয়স্কদের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ছে। বক্ষঃরোগের সমস্যায় জেরবার অনেকেই। পাশপাশি শ্বাসনালীতেও সংক্রমণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ভাইরাস ঘটিত জ্বরে অনেকেই কাবু হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কয়েকটি ঘরোয়া জিনিস (Healthy Food) নিয়মিত সঙ্গী করলেই ভোগান্তির ঝুঁকি কমবে। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘরোয়া উপাদানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে দু'চামচ মধু আর তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে এই পরিবেশে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। তুলসী পাতা এবং মধু শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষত সর্দি-কাশি মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু আর তুলসী পাতা খেলে শরীর সুস্থ থাকে। পাশপাশি, তুলসী পাতা ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। তাই ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত তুলসী পাতা (Healthy Food) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়া খুবই শুষ্ক। শীতের শেষ আর গরমের শুরুর এই সময়ে প্রত্যেক বছর একাধিক ভাইরাসের দাপট বাড়ে। নানান রোগে মানুষ কাবু হন। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাই নিয়মিত লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে থাকে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। যার জেরে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি এই সময়ে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ছে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা কমে। তবে খালি পেটে লেবু খেলে হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সকালের জলখাবারের পরে নিয়মিত একটা করে লেবু (Healthy Food) খাওয়া দরকার। এর জেরে একদিকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। আবার লেবুর রস শরীরে জলের জোগান দেবে। ফলে শুষ্ক আবহাওয়ায় ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমবে।
ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তরকারিতে থাকুক এলাচ
তরকারিতে অনেকেই এলাচ দেন। এতে খাবারের স্বাদ বাড়ে। সুন্দর গন্ধ হয়। তবে শুধু স্বাদের জন্য নয়। এলাচ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুবই উপকারী। তাই এই আবহাওয়ায় নিয়মিত তরকারিতে এলাচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এলাচ (Healthy Food) খেলে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। এলাচ ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে খনিজ পদার্থের জোগান ঠিকমতো থাকলে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন ঘটলেও শরীরে রোগের প্রকোপ কম হয়। আর খেজুর থেকে সহজেই শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম সহ একাধিক খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ থাকে খেজুর (Healthy Food)। তাই ঋতু পরিবর্তনের এই মরশুমে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে নিয়মিত চারখানা খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত এক গ্লাস দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধ হল সুষম খাবার। অর্থাৎ, শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান দুধে থাকে। আবার হলুদ অ্যান্টিসেপটিক। তাই এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে এতে শরীরের একাধিক উপকার পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। রাতে এই খাবার খেলে ঘুম ভালো হয়। ফলে শরীরের হরমোন ভালোভাবে কাজ করতে পারে। তাই নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।