Kidney Disease: ডায়াবেটিস রোগী কীভাবে রুখবেন কিডনির জটিলতা?
ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনির অসুখ শনাক্ত করা বেশ কঠিন। প্রতীকী চিত্র।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর আগেই রক্তে বাড়ছে শর্করার মাত্রা। তরুণ প্রজন্মের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা ডায়াবেটিস। এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও টাইপ টু ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। আর ডায়াবেটিসের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিডনি। দেশ জুড়ে বাড়ছে কিডনির রোগ। গত কয়েক বছরে দেশে মারাত্মক ভাবে বেড়েছে কিডনির সমস্যা। কিডনির কার্যকারিতা হারানোর জেরে মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তারা জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথম থেকেই কিডনি নিয়ে বাড়তি সচেতনতা (Diabetic Nephropathy) না থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ, ডায়াবেটিস হলে গ্লুমেরুলি সংকীর্ণ হয়। এর জেরে রক্তনালীর মধ্যে দিয়ে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পায়। আর তার জেরেই কিডনির কার্যকারিতাতেও সমস্যা দেখা যায়। পাশপাশি কিডনিতে অ্যালবুমিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তার জেরেই কিডনির ভিতরের বিভিন্ন ফিল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিডনির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যকারিতা কমে যায়। মস্তিষ্কের স্নায়ু এবং মূত্রনালীর মধ্যে ঠিকমতো যোগাযোগ থাকে না। এর ফলে, মূত্রথলি পূর্ণ হয়ে গেলেও আক্রান্ত অনুভব করতে পারেন না। দীর্ঘদিন এইভাবে চললে কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে বিশেষত কিডনিতে নানান ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এর জেরে কিডনির রোগের ঝুঁকি (Kidney Disease) বেড়ে যায়।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিডনির রোগের ঝুঁকি (Diabetic Nephropathy) মারাত্মক বেশি। তাই প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগ নির্ণয় প্রাথমিক পর্বেই হলে, চিকিৎসার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনির অসুখ শনাক্ত করা বেশ কঠিন। অনেক ক্ষেত্রেই উপসর্গ চিহ্নিত করা যায় না। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিডনির পরীক্ষা করানো জরুরি। কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রয়েছে কিনা, তা যাচাই করা দরকার। তবে, পা ফুলে যাওয়া, সব সময় ক্লান্তি ভাব, বমি ভাবের মতো উপসর্গ নিয়মিত দেখা গেলে কিডনির পরীক্ষা আবশ্যিক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে শর্করার পরিমাণ জানা দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও নজরদারি জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্তের কখনই কুকিজ, সোডা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে কিডনির অসুখের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। চিনিজাতীয় কোনও খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পাশপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাড়তি নজরদারি দরকার। কারণ, ডায়াবেটিসের সঙ্গে রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হলে তা কিডনি ও হার্টের রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত শারীরিক কসরত করা জরুরি। যাতে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এছাড়া, খেজুর, বাদাম জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে। ফলে, কিডনিও সুস্থ থাকে (Kidney Disease)।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।