১৪০ কোটির দেশ ভারতবর্ষে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মকালে রসনা মেটাতে আমের বিকল্প খুব কমই আছে। তাইতো আমকে বলা হয় ফলের রাজা! পুষ্টিবিদদের মতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আম (Diabetes & Mangoes) খুবই বড় ভূমিকা নেয়, ভিটামিন ই, কে, বি কমপ্লেক্সে ভরপুর থাকে আম। পাশাপাশি আমে থাকে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার। কিন্তু আমে শর্করা থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরা কি আম খেতে পারবেন? এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় আজকে আমরা আলোচনা করব এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন সে নিয়ে।
১৪০ কোটির দেশ ভারতবর্ষে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। মানতে হয় নানা স্বাস্থ্যবিধি, ডায়েটে রয়েছে নানা বিধি নিষেধ। জীবনধারার এই রোগ সাধারণত তখনই হয় যখন রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং অগ্নাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারেনা। চিকিৎসকরা বলছেন ‘‘ডায়াবেটিকদের শরীরের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হয় এবং কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খেতে হয়। প্রসঙ্গত, কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়ায় না।’’ তাই ডায়াবেটিসে যে কোনও ফল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘ডায়াবেটিসে পরিমিত মাত্রায় আম (Diabetes & Mangoes) খাওয়া যেতেই পারে।’’ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, হজমের কোন সমস্যা থাকলে আম তা নিরাময়ে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘আমে (Diabetes & Mangoes) চিনির মাত্রা অনেক বেশি তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খাওয়া নিষিদ্ধ।’’ তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে, আম যদি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে তা খুব বেশি ক্ষতি করবে না। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, অল্প পরিমাণে আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না, তাই চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘রোগীর শর্করার মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে তাঁরা পরিমিত আম খেতেই পারেন।’’
সুগারে কতটা পরিমান আম খাওয়া যেতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তের শর্করার বৃদ্ধি রোধ করতে সাধারণভাবে আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অর্ধেক কাপ অর্থাৎ কিনা ৮২.৫ গ্রাম আম খেয়ে প্রথমে দেখতে হবে রক্তের শর্করার পরিমাণ বেড়েছে কিনা, যদি বাড়ে তাহলে মাপতে হবে তা কতটা বেড়েছে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আম খাওয়ার পরিমাণ নির্ণয় করা যেতে পারে। চিকিৎসকদের সাবধান বাণী, নিয়মিতভাবে সুগার লেভেল চেক করেই খাওয়া উচিত আম। তবে আমের জুশ একেবারেই নিষিদ্ধ বলছেন চিকিৎসকরা।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।