চার বছরের কমবয়সি শিশুদের খাওয়ানো যাবে না এই সিরাপ! নতুন নির্দেশ সম্পর্কে জানেন কি?
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের কমবয়সি শিশুদের জন্য সর্দি-কাশি কম করার জন্য নানা ধরনের সিরাপকে (Cough Syrup) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারতের ওষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা— সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন (সিডিএসসিও)। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, কাশির সিরাপে ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে বিশ্বব্যাপী গাম্বিয়া, উজবেকিস্তান এবং ক্যামেরুনে মোট ১৪১ জন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। আর তাই ভারতে সতর্কতা জারি করে বেশ কিছু কাশির সিরাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে অ্যান্টি-কোল্ড ড্রাগ, তাকেও এক নির্দেশিকায় নিষিদ্ধ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
শীতের সময় ঠান্ডা লাগলেই থাকে সাধারণ ভাবে। আর তাই ঠান্ডা আর কাশি (Cough Syrup) থেকে মুক্তি পেতে কাশির সিরাপের ব্যবাহার ব্যাপাক ভাবে বেড়ে যায়। তবে সব সিরাপ ব্যবহার যোগ্য এমনটাও নয়। শিশুদের জন্য ফিক্সড ড্রাগ কম্বিনেশন বা এফডিসি-র অন্তর্গত কোনও সিরাপ ঠান্ডায় ব্যবহার করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, ক্লোরোফেনিরামাইন ম্যালেট এবং ফেনাইলেফ্রাইন— এই দুই ধরনের উপাদান মিশ্রিত ওষধ বন্ধ করতে হবে। এমনকী, নিজের উৎপাদনের উপর সতর্কতা জ্ঞাপক কথা হিসাবে “৪ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে এফডিসি ব্যবহার করা উচিত নয়” লিখতে হবে বলে গত ১৮ ডিসেম্বর ওষধ প্রস্তুত কারক সংস্থাগুলিকে একথা জানিয়েছে সিডিএসসিও।
সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন জানিয়েছে, “২১০৪টি পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ১২৮টি সংস্থার মধ্যে ৫৪টি ওষধ কাশি (Cough Syrup) নিরাময়ে সাফল্য লাভ করেনি। বর্তমানে বিভিন্ন প্রদেশের ওষধের নমুনা সংগ্রহ করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গাম্বিয়ার ৬৬টি শিশু মারা গিয়েছে নিম্নমানের ওষধ খাওয়ার কারণেই। এর পরে পরেই আমেরিকা এবং গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে কাশির সিরাপের নমুনা সংগ্রহ করে সমীক্ষা করেছে বলে জানা গিয়েছে। আর তারপর থেকে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই সিরাপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের সর্দি-কাশির সমস্যাগুলির চিকিৎসার জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার কাশি সিরাপ ব্যবহার না করাই ভালো বলে জানিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।