Illness: সামান্য কিছুতেই শরীর কাবু? রোগ-প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর সহজ উপায় কিন্তু আপনার হাতের কাছেই!
রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকলে নানান রোগের কবলে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। প্রতীকী চিত্র
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে কিংবা যে কোনও অনুষ্ঠান-উদযাপনের খাওয়া-দাওয়ার পরেই বিগড়ে যায় শরীর। কখনও জ্বর-সর্দি-কাশি, আবার কখনও পেটের অসুখ! বছরভর নানান ভোগান্তি লেগেই থাকে। ঋতু পরিবর্তনের মরশুমে বাড়ে আরও বিপদ। গলাব্যথা থেকে জ্বর কিংবা সর্দি! অসুখের জেরে অনেকেই নাজেহাল হন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকার জেরেই এই বিপদ! শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) কম থাকলে নানান রোগের কবলে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই সুস্থ জীবনযাপনের জন্য জরুরি রোগ প্রতিরোধ শক্তি! পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া উপাদানেই এই সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব। নিয়মিত কিছু খাবার খেয়েই বাড়ানো যাবে ইমিউনিটি পাওয়ার! যার ফলে সামান্য অসুখেই শরীর কাবু হবে না। এছাড়াও সাধারণ ভাইরাস ঘটিত অসুখের ভোগান্তিও কমবে! এবার জেনে নিন, কীভাবে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?
বাড়ির বাচ্চাদের স্কুলের টিফিনে হোক কিংবা বড়দের প্রাতঃরাশে, অন্যান্য খাবারের সঙ্গে নিয়মিত থাকুক সাইট্রাস ফল। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাইট্রাস ফল হল বিভিন্ন ধরনের বেরি জাতীয় ফল। অ্যাপ্রিকট থেকে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি-সবগুলোই সাইট্রাস গোত্রীয় ফল। নিয়মিত এই জাতীয় ফল খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। কারণ, সাইট্রাস জাতীয় ফলে থাকে ভিটামিন সি। শরীরে এই ভিটামিন সি-র জোগান থাকলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার এটা রক্তে শ্বেত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। তাই দেহের প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। নিয়মিত এই ফল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নায় নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। কারণ, হলুদে থাকে কারকিউমিন। এই উপাদান শরীরে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত অসুখের ঝুঁকি কমায়। আবার আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের বিরুদ্ধেও মোকাবিলা করে। তাই হলুদ রান্নায় নিয়মিত ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
যে কোনও ধরনের শাক শরীরের জন্য উপকারী, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুঁই শাক হোক কিংবা পালং শাক, যে কোনও ধরনের শাক শরীর সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ, শাকে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, বিটা ক্যারোটিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো উপাদান। এই উপাদানগুলো পেশিকে মজবুত করে। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। তাই নিয়মিত দুপুরে ভারী খাবার অর্থাৎ ভাত কিংবা রুটি খাওয়ার সময় সঙ্গে থাকুক এক ধরনের শাক! এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
শরীর সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে খাবারের শেষ পাতে থাকুক টক দই। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইয়ে থাকে একাধিক ভালো ব্যাকটেরিয়া। যা মানুষের শরীরের অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই নিয়মিত টক দই খেলে অন্ত্রের রোগের ঝুঁকি (Illness) কমবে। পেটের অসুখ এবং হজম জনিত সমস্যায় ভোগান্তি কমবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহে প্রোটিনের চাহিদা ঠিকমতো পূরণ না হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার জরুরি। তাই মেনুতে মুরগির ডিম কিংবা মাংসের পদ থাকা জরুরি। তবে অবশ্যই সহজপাচ্য রান্না হতে হবে। যাতে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি ৬-র মতো উপাদানের জোগান ঠিকমতো হয়। নিয়মিত ডিম এবং মাংস জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খেলে পেশি মজবুত হবে। আয়রনের চাহিদা পূরণ হবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে (Immunity Power)।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।