Festival: পুজোয় ভালো খাবার না খেলে বাঙালির উৎসব উদযাপন যেন সম্পূর্ণ হয় না, সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
পুজোর দিনে খাদ্যাভ্যাসের পাশপাশি খাবারের সময় এবং পরিমাণ নিয়েও সতর্ক থাকা জরুরি। প্রতীকী চিত্র।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
শুরু বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব! দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ। আর বাঙালির উৎসব উদযাপনের সঙ্গে সব সময় জড়িয়ে থাকে বিশেষ খাওয়া-দাওয়া! পুজোর দিনে ভালো খাবার না খেলে বাঙালির উৎসব উদযাপন সম্পূর্ণ হয় না। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ভালো-মন্দ খাবারের সঙ্গে যুক্ত হয় খাবারের সময় এবং পরিমাণ নিয়ে চূড়ান্ত অনিয়ম! যা শরীরের জন্য বাড়তি বিপদ (Durga Puja Health) তৈরি করে। তাই পুজোর দিনে খাদ্যাভ্যাসের পাশপাশি খাবারের সময় এবং পরিমাণ নিয়েও সতর্ক থাকা জরুরি। না হলে বড় রকমের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, পুজোর পরেই বহু মানুষ পেটের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষত শিশুদের অনেকেই পেটব্যথা, বমির মতো সমস্যায় ভোগে। আবার পেটের গোলমালও দেখা দেয়। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লাগাতার খাওয়ার জন্য এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময়ে অনেকেই অত্যাধিক পরিমাণে চটজলদি খাবার যেমন রোল, চাউমিন, মোগলাই খান। বাদ যায় না বিরিয়ানি থেকে পিৎজা। তাই তিন-চারদিন টানা এই ধরনের খাবার খাওয়ার জেরে লিভার এবং পাকস্থলীর মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
পাশপাশি স্থূলতার সমস্যা তৈরি হতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের চটজলদি খাবার খাওয়ার জেরে শরীরের ওজন অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা আরও বেশি সমস্যায় (Durga Puja Health) পড়তে পারেন।
পুজোর সময়ে অনেকেই সময়মতো খাবার খান না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্ত্রের একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুজোর সময়ে অনেক রাত করে তেলমশলা জাতীয় খাবার খান। আর এর জেরেই হজমের মারাত্মক গোলমাল হয়।
পাশপাশি ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা রোগীদের এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস জটিল পরিস্থিতি তৈরির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের সময়ে বেশি অনিয়ম হলে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠানামা করতে পারে। আর উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় নোনতা খাবার হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার জন্য দরকার নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর দিনে (Festival) কমবেশি সকলেই অন্য রকম খাবার খাবেন। সব সময় সব কিছু নিয়ন্ত্রণ হয়তো সম্ভব হয় না। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মিষ্টিজাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। পেস্ট্রি, কেক কিংবা মিষ্টি, একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে নানান শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ কোলেস্টেরল যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, দেহে যাতে বাড়তি মেদ তৈরি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি (Durga Puja Health)।
তবে এর পাশাপাশি মদ্যপানেও রাশ জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মদ্যপান লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। উৎসবের দিনে অনেকেই অতিরিক্ত মদ্যপান করেন। যা শরীরের হৃদরোগ থেকে লিভারের জটিল অসুখের মতো একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই লিভার সুস্থ রাখতে এই দিকগুলো নজরে রাখা জরুরি।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।