কীভাবে কমবে গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি?
প্রতীকী ছবি।
তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
গত কয়েক বছরেই বাঙালির একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের পাশপাশি আরেক রোগে কাবু হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। আর তা হল গলব্লাডার স্টোন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে গলব্লাডার (Gallbladder) স্টোনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জীবনযাপনের ধরনের জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
কেন বাঙালিদের মধ্যে এই রোগ বাড়ছে? (Gallbladder)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবনযাপনের ধরনের জেরেই বাড়ছে গলব্লাডার স্টোনের সমস্যা। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, কোলেস্টেরল কিংবা বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে পিত্তথলিতে পাথর তৈরি হয়। পেটের ডান দিকে যন্ত্রণা, বমি, জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এগুলো গলব্লাডার স্টোনের উপসর্গ। গত কয়েক বছরে কোলেস্টেরলের সমস্যা মারাত্মক বেড়েছে। তাই গলব্লাডার স্টোনের সমস্যাও বাড়ছে। এছাড়া ওজন কমাতে অনেকেই অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডায়েট করছেন। এর জেরে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হচ্ছে। তাই গলব্লাডার স্টোনের সমস্যা আরও বেশি দেখা দিচ্ছে।
মহিলা নাকি পুরুষ, কাদের বিপদ বেশি? (Gallbladder)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই রোগের বিপদ বেশি। পুরুষেরাও গলব্লাডার স্টোনের সমস্যায় আক্রান্ত হন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা দেয়। তার অন্যতম কারণ হরমোনের ভারসাম্যের অভাব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থার পরে মহিলাদের দেহে একাধিক হরমোনের পরিবর্তন হয়। এর জেরে গলব্লাডার স্টোনের সমস্যা হতে পারে। আবার বহু মহিলা দীর্ঘদিন ধরে গর্ভনিরোধক ওষুধ খান। এর জেরেও দেহে হরমোনের ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটে। তাই গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি দেখা দেয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মহিলারা দ্রুত রোগা হওয়ার জন্য অবৈজ্ঞানিক ভাবে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন। বহু সময় পেট খালি থাকার জেরে গলব্লাডার (Gallbladder) স্টোনের ঝুঁকি বাড়ছে।
গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি কমাতে কী করবেন?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি কমাতে খাবার অনিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস বদলে দিতে হবে। সকালের জলখাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। রুটি, সব্জি, ওটস কিংবা যবের তৈরি খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ এই ধরনের খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। গলব্লাডার স্টোন রুখতে ফাইবার বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পাশপাশি দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়বে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া খুব জরুরি।
দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার সমস্যা থাকলে গলব্লাডার স্টোনের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ স্থূলতা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তার জন্য অবৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস নয়। বরং নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি। খাবারের পরিমাণের দিকে নজরদারি প্রয়োজন।
অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার গলব্লাডার স্টোনের (Gallbladder) অন্যতম কারণ।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।