Healthy Heart: অনেকেই জেনে অবাক হবেন যে,ময়দা জাতীয় খাবার মূলত রুটি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাপনের ফলে, হৃদজনিত সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই কমবেশি দেখা দিচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, অধিক মাত্রায় কোলেস্টেরল (Cholesterol) ও অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের অভিযোগ বেশি করে থাকেন হার্টের রোগীরা।এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও আহারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। যদি আপনি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে আপনার জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা প্রয়োজন।
হার্টকে (Healthy Heart) সুস্থ রাখতে এই খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে-
ময়দা জাতীয় খাবার মূলত রুটি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।ময়দা খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেকেই জেনে অবাক হবেন যে, ময়দার তৈরী রুটি খাবারে সোডিয়ামের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। উচ্চ সোডিয়াম গ্রহণ করলে শরীরে রক্তচাপ বাড়তে পারে, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ।
হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য মাখন কখনোই ভালো নয়। অনেকেই ভেজিটেবল অয়েল থেকে তৈরী মার্জারিনকে ( Margarine) স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করেন। মার্জারিনে থাকা ট্রান্স ফ্যাট শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়ায়। বাজারে পাম তেল দিয়ে তৈরী মার্জারিনে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহা্য্য করে।
দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্যে দুধের চর্বিতে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। বাদাম, কাজু বা সয়ার দুধের থাকা অসম্পৃক্ত চর্বি হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর।তবে গরুর দুধে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্ত করে তবে ক্যালসিয়ামের জন্য বাদাম, ব্রোকলি, কমলা, মটরশুটি, এডামেম, ডুমুর খাওয়া যেতে পারে।
হার্টের রোগীদের অবশ্যই ডিমের কুসুম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তবে, ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনও ক্ষতি নেই। বরং, আচমকা ডিম খাওয়া বন্ধ করাও উচিত নয়। কারণ, তাতে ভিটামিন এ ও বি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ফলত, অল্পমাত্রায় ডিম খাওয়া যেতে পারে।
আপনি যদি বেশি পরিমাণ চিনি বা মিষ্টি খান, তাহলে, শরীরে ইনস্যুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। যা থেকে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ হতে পারে। ফলে, হার্টের রোগীদের বেশি পরিমাণে মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়। কারণ, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
তবে, এই নির্দেশ গুলি পালনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।